পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৩৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অধ্যায়। *Ꮂ☾ উঠে। সুতানটিতে ১৬৮৬ খৃঃ অব্দের খৃষ্টমাস বা বড়দিন অতিবাহিত করিয়া চার্ণক নবাবের নিকুট ইংরাজদিগের একটা দুর্গ ও টাকশাল নিৰ্ম্মাণের ও বিনা শুল্কে বাণিজ্যের প্রার্থনা করিয়া পাঠান । কিন্তু কোনরূপ আশাজনক উত্তর লাভ না করায়, অগত্য র্তাহার মোগলদিগের প্রতি উপদ্রব করিতে আরম্ভ করেন। আডমিরাল নিকলসন কতকগুলি সৈন্য লইয়া হিজলী দ্বীপ অধিকারে অগ্রসর হন । হিজলী হইতে র্তাহার উলুবেড়িয়া ও অবশেষে পুনৰ্ব্বার সুতানটিতে আগমন করেন। মোগলসেনাপতি আবদুল সমদ খা ইংরাজদিগের প্রতি বিশেষ কোন রূপ অত্যাচার করেন নাই ; কারণ, তিনি বুঝিতে পারিয়াছিলেন যে, ইংরাজের অস্বাস্থ্যকর স্থানসমূহে বাস করিয়া রোগগ্রস্ত হইবে। সেই জন্য হিজলী প্রভৃতি স্থানে তাহারা পীড়িত ও অনেকে পঞ্চস্থ প্রাপ্ত হইয়া অবশেষে ১৭৮৭ খৃঃ অব্দে সুতানাটতে পুনৰ্ব্বার আগমন করিতে বাধ্য হন। সুতানটিতে উপস্থিত হইলে, নবাব সায়েস্তা থা ইংরাজদিগকে সুতানটি পরিত্যাগ করিয়া হুগলীতে আসার জন্ত আদেশ প্রদান করেন। কিন্তু চার্ণক সুতানটিকে মুরক্ষিত ও বিনা শুল্কে বাণিজ্য করার অধিকার প্রাপ্তির আশায় আয়ার ও ব্রাডিল নামে প্রতিনিধিদ্বয়কে ঢাকায় নবাবের নিকটে পাঠাইয়া দেন। সেই সময়ে মালাবার উপকূলেও মোগলদিগের সহিত ইংরাজদিগের বিবাদ উপস্থিত হয়। বাঙ্গলার ইঘটনার সংবাদ পাইয়া কোম্পানীর ডিরেক্টর বা অধ্যক্ষগণ ইংলণ্ড হইতে কাপ্তেন হীথকে সৈন্ত ও জাহাজসহ বাঙ্গলায় প্রেরণ করেন। হীথ মান্দ্রাজে পহুছিয়া অবশেষে ১৭৮৭ খৃঃ অব্দের সেপ্টেম্বর মাসে সুতানটিতে উপস্থিত হন । সেই সময়ে সায়েস্তা