পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৩৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অধ্যায়। \De Gł আজিম ওশ্বান রহিম সার কথায় বিশ্বাস করিরা খাজা আনোয়ারকে কতিপয় সঙ্গীর সহিত পাঠাইয়া দেন। কিন্তু আফগানের আনোয়ার ও র্তাহীর সঙ্গিগণকে নিহত করে। রহিম সা যখন বুঝিতে পারিল যে, কিছুতেই আর তাহার নিস্কৃতি নাই, তখন সে আপনার সৈন্ত্যদিগকে সাজাদার শিবির আক্রমণের জন্ত আদেশ দেয়। আজিম ওশ্বান আনোয়ারের মৃত্যুসংবাদে দুঃখিত হইয়া হস্তিপৃষ্ঠে আরোহণ করিয়া বিদ্রোহিগণের প্রতি ধাবিত হন। ইতিমধ্যে রহিম সাও অশ্বারোহণে র্তাহার সম্মুখে আসিয়া উপস্থিত হয় । সেই সময়ে হামিদ খা নামক সাজাদার এক প্রিয় কৰ্ম্মচারী আপনাকে আজিম ওখান বলিয়া পরিচয় দিয়া রহিম সার সম্মুখীন হন এবং একটী তীরে রহিম সার পার্শ্ব ও আর একটা তীরে তাহীর অশ্বের মস্তক বিদ্ধ করিয়া ফেলেন। রহিম স অশ্ব হইতে নিপতিত হইলে, হামিদ নিজেও অশ্ব হইতে অবতরণ করিয়া তরবারির আঘাতে রহিম সার মস্তক ছেদন করেন এবং সেই ছিন্ন মস্তক একটী বর্ষার অগ্রভাগে বিদ্ধ করিয়া সাজাদার নিকট উপস্থিত হন। আফগানগণ তাহাঁদের নেতার মৃত্যুতে ছত্রভঙ্গ হইয় পড়ে ও চারিদিকে পলায়ন করিতে আরম্ভ করে। তদবধি ( ১৬৯৮ খৃঃ অব্দ হইতে ) সপ্তদশ শতাব্দীর সেই ভয়াবহ রাজবিদ্রোহের অবসান হয়। আজিম ওখান বিদ্রোহিগণকে ধৃত করার জন্য দেশের চতুর্দিকে লোকজন পাঠাইয়া দেন। পরে কিছু কাল বৰ্দ্ধমানে অবস্থিতি করিয়া পশ্চিম বঙ্গে শাস্তি স্থাপিত হইলে, তিনি রাজধানী ঢাকা বা জাহাঙ্গীরনগরাভিমুখে গমন করেন এবং বাঙ্গাল, বিহার ও উড়িষ্যার নবাব নাজিমরূপে শাসনকাৰ্য্য পরিচালনে প্রবৃত্ত হন ।