পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৩৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুর্শিদাবাদের ইতিহাস । טא נס\ বৌদ্ধ উভয় মতাবলম্বী লোকই দেখা যাইত। হিন্দুদিগের দেৰ মন্দির ও বৌদ্ধদিগের সঙ্ঘারামও বিদ্যমান ছিল। সঙ্ঘারামে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা সমাগত হইতেন । রাঙ্গামাট হইতে প্রাপ্ত স্বণ ও রৌপ্য গুপ্তমুদ্র এবং ভগ্ন মহিষমৰ্দ্দিনী প্রভৃতি প্রস্তরমূর্তাি হইতে জানা যায় যে, এককালে এতদ্দেশে শক্তি-উপাসনা বিশেষরূপ প্রচলিত ছিল । অদ্যাপি মুর্শিদাবাদের রাঢ় বিভাগে তাহার যথেষ্ট চিহ্ন দেখা যায়। ইহার পর বহু দিন মুর্শিদাবাদ প্রদেশের বিশেষ কোন বিবরণ পাওয়া যায় না। তৎপরে খৃষ্টীয় ৮ম শতাব্দীতে পৌণ্ডবৰ্দ্ধনাধিপ রাজা আদিশূরের বিবরণ হইতে জানা বায় যে, তৎকালে সমগ্র বঙ্গরাজ্যে বৌদ্ধ ধৰ্ম্ম প্রবল হইয়া উঠিয়াছিল, সেই জন্ত র্তাহাকে বৈদিক যজ্ঞানুষ্ঠানের জন্ত কান্তকুজ হইতে পাঁচ জন সাগ্নিক ব্রাহ্মণকে আনয়ন করিতে হয়। মুর্শিদাবাদ প্রদেশেরও যে সেইরূপ অবস্থা ঘটিয়াছিল সে বিষয়ে সন্দেহ নাই। সেই ব্রাহ্মণপঞ্চকের বংশধরগণের মধ্যে রাঢ়ীয় শ্রেণীর অনেকে মুর্শিদাবাদ প্রদেশের কোন কোন স্থানে বাস করায়, ক্রমে ক্রমে এতৎপ্রদেশে হিন্দু ধৰ্ম্মের বিশেষরূপ প্রচলন আরব্ধ হয়। আবার উত্তর রাঢ়ের মহীপাল নগরে বৌদ্ধধৰ্ম্মাবলম্বী পালবংশীয় রাজা মহীপালাদি বাস করায়, বৌদ্ধ ধৰ্ম্মও সমভাবে প্রচলিত ছিল। পালবংশীয়ের বৌদ্ধ হইলেও তাহারা হিন্দু ধৰ্ম্মের অনেক বিষয় প্রতিপালন করিতেন, ধৰ্ম্মপালাদির বিবরণে তাহ দেখিতে পাওয়া যায়। এমন কি, উত্তর রাঢ়ের রাজা মহীপালও শ্রণী হত্যার প্রায়শ্চিত্তের জন্ত সাগরদীঘী খনন করাইয়াছিলেন । স্বতরাং সেই সময়ে হিন্দু ও বৌদ্ধ উভয়ধৰ্ম্মই সমভাবে এগুণত ছিল। পালবংশের সময় বঙ্গদেশে বৌদ্ধ তান্ত্রিক ধৰ্ম্মের অভূ"ি