পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৩৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অধ্যায় । ৩২১ লাম ধৰ্ম্ম গ্রহণ করিতেও বাধ্য হয়। মুসলমানগণ ক্রমে বঙ্গদেশের অধিবাসী হইয়া উঠায় তাহাদের সহিত নানাপ্রকারে সংস্থষ্ট হইয়৷ হিন্দু সন্তানগণের কেহ কেহ মুসলমান আচার ব্যবহার অবলম্বন করেন, এমন কি অনেক ব্রাহ্মণসস্তানও ঐরূপ আচার ব্যবহার অবলম্বন করিয়া সমাজ হইতে বহিষ্কৃত হইয়াছিলেন। মুসলমানগণের মধ্যে যাহারা হীনাবস্থ হইয়া পড়েন, তাহারা কৃষি ও চাকরী করিতে বাধ্য হন। গৌড়ের বাদসাহ হোসেন সাহাও এককালে হিন্দুর চাকরী করিয়াছিলেন। হিন্দুসমাজে মুসলমান আচার ব্যবহার প্রবেশ করিয়া যখন তাহাকে বিশৃঙ্খল করিয়া তুলে, সেই সময়ে তাহার প্রতিকূলে উক্ত সমাজ হইতে শক্তি প্রয়োগের আবশ্যক হয় এবং তাঁহারই ফলে চৈতন্তদেব কর্তৃক বৈষ্ণৰ ধৰ্ম্মের প্রচার, রঘুনন্দন কর্তৃক স্মৃতির ব্যবস্থাপ্রচলন, দেবীবর ঘটক কর্তৃক রাঢ়ীয় ব্রাহ্মণগণের মেলবন্ধন এবং রাজা পরমানন্দ রায় কর্তৃক বঙ্গজ ও পুরন্দরখা কর্তৃক দক্ষিণরাঢ়ীয় কায়স্থগণের কুলবিধি সংশোধনের প্রয়োজন হইয় উঠে । আমরা পূৰ্ব্বে উল্লেখ করিয়াছি যে, বৌদ্ধধৰ্ম্মের পর বঙ্গদেশে তান্ত্রিক ধৰ্ম্ম প্রাধান্য লাভ করে এবং মিশ্র তান্ত্রিক মত ক্রমে প্রবল হইয় উঠে। খৃষ্টীয় পঞ্চদশ ও ষোড়শ শতাব্দীতে উক্ত তান্ত্রিক মত বঙ্গদেশে বহুল পরিমাণে প্রচলিত ছিল । চৈতন্যভাগবত, চৈতন্যচরিতামৃত প্রভৃতি গ্রন্থ হইতে তাহ অবগত হওয়া যায়। কিন্তু বিশুদ্ধ শক্তি-উপাসনারও তৎকালে লোপ ঘটে নাই । রঘুগগনের স্মৃতি ও কবিকঙ্কণের চণ্ডী প্রভৃতি গ্রন্থ হইতে আমরা তাই বুঝিতে পারি। মিশ্র তান্ত্রিক মতের সহিত মুসলমান আচার बावशत्रे মিশ্রিত হইয়া নবদ্বীপ প্রভৃতি স্থানে সমাজমধ্যে