পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬ মুর্শিদাবাদের ইতিহাস। রণক্রীড়া প্রদর্শন করিয়া ব্রিটিশকেশরীকে ব্যাকুল করিয়া তুলিয়াছিল। নানক হইতে দশমগুরু গুরুগোবিন্দ শিখদিগের অধিপতি হইয়া ধৰ্ম্মপ্রাণ শিখদিগকে বীরজাতি করিয়া তুলেন। মোগলদিগের অত্যাচারে প্রপীড়িত হইয়া তিনি আপন অকুচরগণকে বীরমন্ত্রে দীক্ষিত করিতে বাধ্য হন। তাহার অধীনস্থ সুরক্ষিত স্থানসকল মোগলেরা অধিকার করে, এবং র্তাহার মাতা ও পুত্রকষ্ঠাগণের রক্তে তাহাদের তরবারি রঞ্জিত হইয় উঠে। গুরুগোবিনা নিজে অবশেষে ১৭৪৮ খৃষ্টাব্দে দাক্ষিগাত্যের নানির নামক স্থানে কোন গুপ্ত শক্ৰকর্তৃক নিহত হন। শুরুগোবিন্দের পর তাহার শিষ্য বন্ধু শিখগণের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন । বাহাঙ্কুর সাহের রাজত্ব কালে মোগলসাম্রাজ্যের অনেক স্থান শিখগণকর্তৃক আক্রান্ত হয়। বন্ধু সরহিন্দ প্রদেশের শাসনকৰ্ত্তাকে পরাজিত করিয়া সাহারণপুর পর্য্যন্ত অগ্রসর হন, ও এক দিকে লাহোর ও অন্য দিকে দিল্লী পর্য্যস্ত অধিকার করিয়া বসেন। মুসন্মানদিগের অত্যাচারের প্রতিশোধ লইবার জন্য শিখগণ তাহাদিগের মোল্লাগণের প্রাণনাশ, আবালবৃদ্ধবনিতার প্রতি অত্যাচার ও অধিবাসীবর্গের রক্তে নগর ও গ্রাম রঞ্জিত করিয়া, তাহাদের মৃতদেহ পশুপক্ষীর আহারার্থ নিক্ষেপ করে। সম্রাট বাহান্থর সাহ তাহাদিগকে আক্রমণ করিলে, বন্ধু তাহার অনুচরগণের সহিত একটা দুর্গে আশ্রয় লইতে বাধ্য হন। মোগলের উক্ত দুর্গ অবরোধ করে। ক্রমে খাদ্য দ্রব্যের অভাব হওয়ায় শিখগণ দুর্গ পরিত্যাগ করির মোগলৰূহ ভেদ করিতে যত্নবান হয়। তাহদের অনেকে মোগলের হস্তে নিহত হইলে বন্ধু কোন ক্রমে আত্মরক্ষায় সক্ষম হইয়া পাৰ্ব্বত্য প্রদেশে আশ্রয়