পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৫২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88b- মুর্শিদাবাদের ইতিহাস । তেছি। ১৫৮২ খৃঃ অব্দে রাজা তোড়রমল্ল কর্তৃক বিহারের প্রথম বন্দোবস্ত হয়। সেই সময় বিহারকে, বিহার, মুঙ্গের, রোটাস, ত্রিহুত, হাজীপুর, সারণ ও চম্পারণ এই সাত সরকার ও ২০০ পরগণায় বিভক্ত করিয়া ৫৫,৪৭,৯৮৪ টাকা তাহার জমা নির্দিষ্ট করা হইয়াছিল। কিন্তু তাহার মধ্যে ১৩৮ পরগণায় রীতিমত রাজস্ব আদায় হইত। তাহার পরিমাণ ৪৩,১৭,০৪৪ টাকা মাত্র ছিল। উক্ত রাজস্ব হইতে প্রায় পঞ্চমাংশ সরঞ্জামী খরচ বাদ দিয়া ৩৪, ৫৩, ৬৩৬ টাক খালস ও জায়গীরের প্রকৃত আয় হইত। ইহার পর সাজহানের দস্তুর-উল-আমীলের বন্দোবস্ত অনুসারে ও ১৬৮৫ খৃঃ অব্দে বাদসহ আরঙ্গজেব তাহাই স্থির রাখিলে, বিহারে সাহাবাদ-ভোজপুর নামে একটী সরকার বৰ্দ্ধিত হইয়া তাহা ৮ সরকার ও ২৪৬ পরগণায় বিভক্ত ও ৮৫, ১৫,৬৮৩ টাকা তাহার জমা নির্দিষ্ট হয়। তন্মধ্যে অনাবাদী জমী প্রভৃতির জমা ও মফঃস্বলের খরচ বাদে ৫৫, ৯৭, ৪১৩ টাকা ইহার প্রকৃত রাজস্ব বলিয়া গৃহীত হইত। তন্মধ্যে আবার ৫১,৮২,৪১৩ টাকা জায়গীর ও ধৰ্ম্মার্থে নির্দিষ্ট হওয়ায়, কেবল ৪, ১৫,০০০ টাকা মাত্র রাজকোষে যাইত। মুর্শিদকুলী খাঁ এই রূপ বন্দোবস্তের প্রতি কোন রূপ হস্তক্ষেপ করেন নাই। কারণ বিহারে যে সমস্ত জায়গীরদার ছিলেন, তাহারা অত্যন্ত ক্ষমতাশালী হওয়ায় ও আজিম ওখান ও ফরথসের তথায় প্রতিনিয়ত বাস করায়, তিনি বিহারের বন্দোবস্তে মনোনিবেশ করার সুযোগ প্রাপ্ত হন নাই। বিশেষতঃ বাদসাহ আরঙ্গজেব কয়েক বৎসর পূৰ্ব্বেই সাজাহানের দস্তুরউল-আমীলের বন্দোবস্ত স্থির রাখিয়াছিলেন। সুতরাং কুলী খার সময়ে বিহারে পূৰ্ব্বের বন্দোবস্তই প্রচলিত থাকে। তাহার পর