পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৫৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(łGS মুর্শিদাবাদের ইতিহাস। লুটিয়া লওয়ায়, হুগলীর ফৌজদার নবাবের আদেশে তাহাদিগকে বন্দী ও শৃঙ্খলাবদ্ধ করিয়া মুর্শিদাবাদে প্রেরণ করিলে, নবাব উক্ত জমীদারদ্বয়কে চিরকারারুদ্ধ থাকার আদেশ প্রদান করিয়াছিলেন, ইহ পূৰ্ব্বে উল্লিখিত হইয়াছে। এইরূপ র্তাহার রাজ্যমধ্যে যে স্থলে লুটতরাজ বা চুরিডাকাইতি হইত, তিনি তাহার শাসনের জন্ত সম্যকৃরূপে চেষ্টা করিতেন। ফৌজদার, কোতোয়াল, থানাদার ও জমীদারগণ অপহৃত দ্রব্যের উদ্ধার ও অত্যাচারীদিগকে শাস্তি প্রদানের জন্ত আদিষ্ট হইতেন, তাহার অন্যথা করিলে তাহাদিগকেই দণ্ডাহঁ হইতে হইত। কাটোয়া হইতে বৰ্দ্ধমান ও জগন্নাথের বিস্তৃত পথে তিনি শান্তিরক্ষার মুব্যবস্থা করিয়াছিলেন। তজ্জন্ত কাটোয়ামুর্শিদগঞ্জে একটী থান স্থাপিত হয় । নবাব রাজ্যমধ্যে চোর ডাকাইত শাসনের জন্য আপনার প্রিয়পাত্র মহম্মদজানকে নিযুক্ত করেন। মহম্মদজান পূৰ্ব্বস্থলীতে থানা বসাইয় তাহাকে কাটােয়ার অন্তর্ভূত করেন, এবং তথা হইতে নদীয়া ও হুগলীর পথে চোর ডাকাইত ধরিয়া তাহাদিগকে দ্বিভাগ করিয়া অপরাপর অত্যাচারীদিগকে ভয় প্রদর্শনের জন্ত বৃক্ষশাখায় লটুকাইয়া রাখিতেন । মহম্মদজানের অগ্ৰে অনেক তীরন্দাজ ও কুঠারধারী লোক যাইত বলিয়। তিনি “কুড়ালী” বা কুঠারী নামে অভিহিত হইতেন। নবাবের এই প্রকার শাসনে পথিকগণ পথিমধ্যে আপন আপন দ্রব্যসহ নিৰ্ভয়ে নিদ্রা যাইতে পারিত। র্তাহার সময়ে বঙ্গদেশে চোর ডাকাইতের উপদ্রব নিৰ্ম্মল হইয়াছিল বলা যায়। রাজস্ব ও শাসনের মুচারু রূপ বন্দোবস্ত করিয়া নবাব মুর্শিদকুলী খ বিচার প্রথার সংশোধনেও মনোযোগ প্রদান করেন ।