পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Gir মুর্শিদাবাদের ইতিহাস । যুদ্ধ করিয়া অবশেষে প্রাণ বিসর্জন দিতে বাধ্য হন । আফগানের মহারাষ্ট্রীয়দিগের পশ্চাদ্ধাবিত হইয় তাহাদের মস্তক ছেদন করিতে করিতে চতুৰ্দ্দিকে প্রায় দশ ক্রোশ পৰ্য্যন্ত মহারাষ্ট্ৰীয় সৈন্তগণের মৃতদেহে বসুন্ধর আচ্ছন্ন করিয়া ফেলে। এই যুদ্ধে উভয় পক্ষের প্রায় ২ লক্ষ লোক নিহত হয় । জনকজী সিন্ধিয়া ও ইব্রাহিম খাঁ গার্দি আহত হইয়া বন্দী হন, অবশেষে তাহাদিগকে প্রাণ বিসর্জন দিতে হয় । মলহররাও হোলকার যুদ্ধ শেষ হওয়ার পূৰ্ব্বে পলায়ন করিয়া রক্ষা পাইয়াছিলেন। মহাজী সিন্ধিয়া চিরজীবনের জন্ত পদহীন হন, এবং নানা ফড়নবিস পলায়ন করিয়া জীবন রক্ষা করিয়াছিলেন। পানিপথের যুদ্ধে মহারাষ্ট্রীয় জাতির ভাগ্যে যে অশনিপতন হয়, তাহার ভীষণ আঘাতে ক্রমে তাহার হীনবল হইয়া পড়ে । ইহার অল্পকাল পরেই বালাজী বাজীরাও সংসার হইতে চিরবিদায় গ্রহণ করেন। তাহার দ্বিতীয় পুত্ৰ মধুরাও পেশওয়ার পদে প্রতিষ্ঠিত হন। মধুরাওএর সহিত র্তাহার পিতৃব্য রঘুনাথরাও বা রাঘবের ও রঘুজী ভোসেলার পুত্ৰ জনজী ভোসেলার বিবাদ উপস্থিত হয় । এই সময়ে ১৭৬৪ খৃষ্টাব্দে দাক্ষিণাত্যে হায়দর আলির আধিপত্য বিস্তৃত হওয়ায়, মধুজীর সহিত র্তাহার বিবাদ বাধিয়া উঠে, অবশেষে হায়দর মধুীকর্তৃক পরাজিত হইয়া সন্ধি করিতে বাধ্য হন। হায়দরাবাদের নিজমের সহিতও মধুজীর বিবাদ ঘটিয়াছিল । ১৭৬৭ খৃষ্টাব্দে মলহঁররাও হোলকারের মৃত্যু হইলে র্তাহার পুত্রবধু অহল্যা বাই তুকাজী হোলকারকে তাহার সৈন্ত পরিচালনের ভার প্রদান করেন। মধুরাও পেশওয়া স্বীয় কৰ্ম্মচারী বিশ্বজী কৃষ্ণকে হিন্দুস্থান অধিকার করিতে প্রেরণ