পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৬১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Qや● মুর্শিদাবাদের ইতিহাস। প্রত্যভিবাদন করার রীতি ছিল। দরিদ্রগণ ভিক্ষাপ্রার্থী হইলে তাহাদিগকে মোহর ও টাকা দেওয়া হইত। মুর্শিদকুলী ,খার প্রাসাদ ও চেহেল-সেতুন তাহার মনোমত না হওয়ায়, তিনি নুতন মহলসর, চেহেল-সেতুন, নহবতখান, ত্রিপলিয়া তোরণদ্বার, আয়নামহাল, বিশ্রামাগার, কাছারী, ফাৰ্ম্মনবাড়ী, আস্তাবল প্রভৃতি নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন। তাহার সময়ে নিৰ্ম্মিত নহবতখানাসমেত বিশাল ত্রিপলিয়া তোরণ-দ্বার অদ্যাপি মুর্শিদাবাদে বিদ্যমান আছে। সেরূপ গগনস্পশাঁ তোরণ-দ্বার বঙ্গদেশে বিরল। এই সমস্ত সৌধনিৰ্ম্মাণ শেষ করিয়া তিনি প্রাসাদসজ্জার উপযোগী দ্রব্যাদি প্রস্তুতের আদেশ দেন, এবং বনাতের পর্দ, স্বর্ণখচিত সামিয়ান, সুবর্ণনিৰ্ম্মিত আসা, চাদ এবং নানা কারুকার্য্যযুক্ত তাম্বু, স্বর্ণ ও রেশমখচিত মখমলের মসনদ, দেশীয় ও বিলাতীয় গালিচা, সুবর্ণনিৰ্ম্মিত পানদান, আতরদান, গোলাপপাশ প্রভৃতি প্রস্তুত হয়। মুর্শিদাবাদের অন্ত কোন নবাবের সময় এত অধিক দ্রব্য নিৰ্ম্মিত হয় নাই। এই সমস্ত সৌধ ও দ্রব্যাদি ব্যতীত তিনি এক রমণীয় উদ্যান নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন। মুর্শিদাবাদ নগরের পশ্চিম পারে। ভাগীরথীতীরে ডাহাপাড়া নামক স্থানে নাজির আহম্মদ একটী উদ্যান ও মসজীদ নিৰ্ম্মাণ আরম্ভ করিয়াছিল। তাহার প্রাণদণ্ডের পর নবাব মসজীদ নিৰ্ম্মাণ শেষ করিয়া সেই উদ্যানটাকে সজ্জিত করিতে যত্নবান হন। তিনি তাহাকে নানাবিধ বৃক্ষে সুশোভিত করিয়া তাহার স্থানে স্থানে ফোয়ার, চৌবাচ্চ ও লহর স্থাপন করেন । এই রমণীয় উদ্যানের নাম নবাব “ফর্থবাগ” বা সুখ-কানন প্রদান করিয়াছিলেন। মুসলমান লেখকগণ বলিয়া থাকেন যে, ইহার রমণীয়তার নিকট কাশ্মীরের উদ্যানাবলী লজ্জা পাইত ও