পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৬২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

G 88. মুর্শিদাবাদের ইতিহাস । থাকিতে পরিবে না। কিন্তু এই কঠোর আদেশসত্ত্বেও কোন কোন জৰ্ম্মান বাণিজ্য-জাহাজ গুপ্ত ভাবে ভারতবর্ষে আগমন করিত, এবং বঙ্গদেশীয় বাণিজ্য কুঠার অধ্যক্ষ কাৰ্য্যদক্ষ ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হওয়ায় তিনি ঐ সমুদয় জাহাজ পণ্যদ্রব্যে পরিপূর্ণ করিয়া দিতেন। এই বাণিজ্যব্যাপার গুপ্ত ভাবে পরিচালিত হইলেও তাহা ওলন্দাজ ও ইংরাজদিগের তীক্ষ দৃষ্টির অগোচর ছিলনা। ১৭৩০ খৃষ্টাব্দে ইংরাজ বণিকগণ “ফোর্ডউইচ” নামক রণতরীর অধ্যক্ষ কাপ্তেন গল্ফ্রাইটের অধীন এক দল নৌসেনা ভাগীরথীর পথাবরোধের জন্ত প্রেরণ করেন। গল্ফ্রাইট যুদ্ধ-জাহাজসহ অগ্রসর হইয়া জানিতে পারিলেন যে, দুই খানি জৰ্ম্মান জাহাজ কলিকতা ও বাকিবাজারের মধ্যে নঙ্গর করিয়া আছে। তিনি আপন অধীনস্থ দুই দল নৌসেনা পাঠাইয়া দেন। প্রথম গোলাবৃষ্টিতে “সেন্টথেরেসা” নামক সৰ্ব্বাপেক্ষ ক্ষুদ্র অষ্টেণ্ড জাহাজখানি জাতীয় পতাকা নিম্নমুখ করিলে, ইংরাজগণ কর্তৃক ধৃত হইয়া কলিকাতায় নীত হয়। কিন্তু বৃহৎ পোতখানি বাকিবাজার কুঠার নিম্নে কামানের আশ্রয় গ্রহণ করে। ইংরাজেরা উহা হস্তগত করার কোন প্রকার উপায় স্থির করিতে পারেন নাই। তাহার পর সে জাহাজ খানি কোন রূপে পলায়ন করিয়া ইউরোপ অভিমুখে অগ্রসর হয়। এই ঘটনার কিছু কাল পরে ওলন্দাজ ও ইংরাজগণ মিলিত হইয় থাকিবাজার বঙ্গদেশ হইতে জৰ্ম্মান বাণিজ্য দূরীভূত করার আক্রমণ। ইচ্ছায় নবাবের মনোযোগ আকর্ষণে প্রবৃত্ত হন। তাহার হুগলীর ফৌজদারকে উৎকোচ দ্বারা বশীভূত করিয়া তাহার দ্বারা নবাবের নিকট মিথ্যা বর্ণনা পাঠাইতে থাকেন। ফৌজদার নবাবকে জানাইলেন যে, বাকিবাজারস্থ জৰ্ম্মান কুঠী অত্যন্ত সুদৃঢ়