পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৬৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম অধ্যায় । @@@ ইতিপূৰ্ব্বে উল্লিখিত হইয়াছে যে, হাজী আহম্মদের দ্বিতীয় পুত্র সৈয়দ আহম্মদ রঙ্গপুরের ফৌজদার নিযুক্ত দিনাজপুর ও হন। তিনি রঙ্গপুর প্রদেশে অত্যন্ত অত্যাচার কোচবিহার। করিতে আরম্ভ করেন। দিনাজপুররাজ ও কোচবিহাররাজ সেই অত্যাচারের ফল ভোগ করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন। পূৰ্ব্বে উক্ত হইয়াছে যে, দিনাজপুররাজ রামনাথ প্রভূত ধনসম্পত্তির অধীশ্বর হইয়া নবাব মুর্শিদকুলী খার সময়ে মধ্যে মধ্যে সরকারের সাহায্য করায়, তাহার জমীদারী ক্রোকসাজোয়ালের হস্তে পতিত হয় নাই । নবাব সুজা খাও র্তাহার প্রতি সেইরূপ অনুগ্রহ প্রদর্শন করিয়াছিলেন। ক্রমে রামনাথ বাদসাহদরবার হইতে মহারাজা উপাধি ও খেলাত প্রাপ্ত হন । বাদসাহ ও নবাবের নিকট হইতে ঐরাপ অনুগ্রহ লাভ করিয়া রামনাথ ফৌজদার সৈয়দ আহম্মদকে তাদৃশ গ্রাহ করিতেন না, এবং রামনাথের অপরিমিত ধনসম্পত্তির কথা শুনিয়া, সৈয়দ আহম্মদও ঈর্ষ্যাপরায়ণ হইয় তাহাকে দমন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তিনি নবাবের নিকট এই রূপ বলিয়া পাঠান যে, দিনাজপুররাজ নবাবের বগুত স্বীকার করিতে অনিচ্ছুক। নবাব তাহা শুনিয়া হাজার পরামর্শক্রমে রঙ্গপুরে এক দল সৈন্ত পাঠাইয়া দেন। সৈয়দ আহম্মদ সহসা দিনাজপুর আক্রমণ করিয়া রাজার ধনসম্পত্তি লুণ্ঠনে প্রবৃত্ত হন। রামনাথ সপরিবারে গোবিন্দনগরে পলায়ন করিয়া কোন রূপে আত্মরক্ষা করেন। পরে গঙ্গামানের ছলে মুর্শিদাবাদে গিয়া, নবাবকে সমস্ত কথা জ্ঞাত করাইলে, নবাব তাহাকে স্বরাজ্যে গমনের অনুমতি দেন, ও সৈয়দ আহম্মদকে অত্যন্ত তিরস্কার করেন। * রামনাথ দিনাজপুর গিয়া নবাবকে

  • দিনাজপুররাজবংশের মতে রামনাথ মুর্শিদাবাদ হইতে সৈন্ত জান