পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৬৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ অধ্যায়। 《속ve) করিয়া সরফরাজকে রাজ্যচ্যুত করার জন্য প্রবৃত্ত হন। অদুরদর্শী নবাব নাদিরের মনোরঞ্জনের জন্ত যত্ন করিতে গিয়া বাদসাহ মহম্মদ সাহের কুদৃষ্টিতে পতিত হইলেন। তিনি বুঝিতে পারেন নাই যে, নাদির সাহ ভারতবর্ষ ত্যাগ করিলে, আবার মহম্মদ সাহই ভারতের একাধীশ্বর হইয়া উঠিবেন। ফলতঃ এই জন্ত মহম্মদ সাহ সরফরাজের উপর বিশেষ রূপ অসন্তুষ্ট হন এবং যাহাতে তিনি মুর্শিদাবাদের সিংহাসন হইতে অপসারিত হন, তদ্বিষয়েও তাহার অনভিমত ছিল না। পূৰ্ব্বে উল্লিখিত হইয়াছে যে, সরফরাজ খাঁ অত্যন্ত বিলাসী ও ইন্দ্রিয়পরায়ণ ছিলেন,এবং তাহার সেই ভয়ানক অলিমচাদ ও দোষ দিন দিন বৃদ্ধি প্রাপ্ত হওয়ায় ও শাসন- জগৎশেঠ । কার্য্যে তাহার অত্যন্ত অমনোযোগদর্শনে, রায়রায়ান আলমচাদ নবাবকে সতর্ক করার জন্ত অনেক প্রকার চেষ্টা করিয়াছিলেন। আলমৰ্চাদ নবাব সুজা উদ্দীনকে সৰ্ব্বদা সৎপরামর্শ প্রদান করিতেন বলিয়া সুজা উদ্দীন বিলাসপরায়ণ ও মুক্তহস্ত হইয়াও রাজকোষ শূন্ত করেন নাই। আলমৰ্চাদ সরফরাজকে সেই রূপ ভাবের উপদেশ দেওয়ায় চেষ্টা করিলে, সরফরাজ তাহার উপদেশ শ্রবণ করা দুরে থাকুক, বরঞ্চ আলমৰ্চাদকে যৎপরোনাস্তি অবমানিত ও লাঞ্ছিত করেন। তদবধি আলমৰ্চাদ তাহার উপর অত্যন্ত অসন্তুষ্ট হইয়া নবাবের মঙ্গলের জন্ত কোন রূপ চেষ্টা করিতেন না, অধিকন্তু তাহার বিপক্ষবর্গের সহিত যোগদান করিয়া সরফরাজকে রাজচ্যুত করার জন্ত চেষ্ট করেন। এই সময়ে জগৎশেঠের সহিতও নবাবের মনোমালিন্ত সংঘটিত হয়। এই মনোমালিন্তের বিষয়ে ইংরাজ ঐতিহাসিকগণ এই রূপ বলিয়া থাকেন। একটা পরমাসুন্দরী কন্যার সহিত জগৎশেঠের পৌত্র মহাতাব রায়ের