পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৬৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ অধ্যায় । (*b- R সহ ও কাৰ্য্যকুশল গোলন্দাজগণ পরিবেষ্টিত হইয়া মুর্শিদাবাদাভিমুখে অগ্রসর হইলেন। ক্রমাগত অগ্রসর হইতে হইতে কোন স্থানে বিশ্রাম না করিয়া অবিলম্বে সাবাদনামক স্থানে উপস্থিত হন। সাবাদে তৎকালে একটী দুর্গ ছিল, উক্ত দুর্গ পৰ্ব্বত ও গঙ্গার পথ অবরোধ করিয়া অবস্থিতি করিত। আলিবর্দী তথায় একটা উপত্যকায় সমস্ত সৈন্ত লুক্কায়িত রাখিয়া মস্তাফা খা নামক জনৈক দক্ষ ও সাহসী আফগান সৈন্যাধ্যক্ষকে এক শত অশ্বারোহী ও সরফরাজ গাদত্ত অনুমতি-পত্রসহ দুর্গ অধিকারে প্রেরণ করেন। সরফরাজ অপর এক সৈন্তাধ্যক্ষকে উক্ত অনুমতি-পত্র প্রদান করিয়াছিলেন, কিন্তু আলিবন্দী কোনও প্রকারে তাহা হস্তগত করিয়া মস্তাফা খাকে প্রদান করেন। মস্তাফা খা অবগত হইলেন যে, উক্ত দুর্গমধ্যে কেবল দুই শত মাত্র বন্দুকধারী সৈন্ত অবস্থিতি করিতেছে। তিনি এই উপায় অবলম্বন করিলেন যে, যখন তিনি দুর্গমধ্যে প্রবিষ্ট হইয়া সঙ্কেত করিবেন, তখন অবশিষ্ট যাবতীয় সৈন্ত যেন অগ্রসর হয়। পরে তিনি দুর্গের নিকট স্বীয় অল্পসংখ্যক সৈন্তসহ উপস্থিত হইয়া অনুমতি-পত্র প্রদান করিয়া দুর্গমধ্যে প্রবিষ্ট হইলেন ও নাগরার ধ্বনি আরম্ভ করিলেন। তখন অবশিষ্ট সৈন্তকে যুদ্ধযাত্রায় অগ্রসর হইতে দেখিয়া, দুৰ্গরক্ষকের ভয়ে দ্বার রুদ্ধ করিল, এবং আত্মরক্ষার জন্ত প্রস্তুত হইতে লাগিল। কিন্তু যখন মস্তাফা খাঁর নিকট হইতে অবগত হইল যে, যদি তাহারা তাহদের বিরুদ্ধে সামান্য চেষ্টামাত্রও করে, তাহা হইলে প্রত্যেককে শাণিত কৃপাণের পিপাসা মিটাইতে হইবে। তখন অগত্যা তাহার বশ্যতা স্বীকার করিল, তাহার পর দুর্গদ্বার উন্মুক্ত হইলে, সকল সৈন্য দুর্গমধ্যে প্রবেশ করিয়া দুর্গ অধিকার করিয়া লইল ।