পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবতরণিকা । 8忒 রোপে ফরাসী ও ইংরাজের মধ্যে সন্ধি স্থাপিত হওয়ায়, ইংরাজদিগকে মান্দ্রাজ প্রত্যৰ্পণ করা হয়। নিজাম সদতুল্লা নামক এক ব্যক্তিকে কর্ণাটের নবাবী প্রদান করেন। সদতুল্লা নিঃসস্তান হওয়ায়, দোস্ত আলি ও বকীর আলি নামক ভ্রাতুষ্পুত্রদ্বয়কে দত্তকস্বরূপে গ্রহণ করিয়াছিলেন। ১৭৩২ খৃষ্টাব্দে দোস্তআলি কর্ণাটের নবাবী প্রাপ্ত হইলে তাহার জামাত চাদ সাহেব রাজস্বসচিবের পদ প্রাপ্ত হন। চাদ সাহেব ত্রিচিন্নাপল্লীর হিন্দুরাজাকে বন্দী করিয়া স্বীয় শ্বশুরের অনুমতিক্রমে উক্ত স্থানের শাসনকর্তৃত্ব লাভ করেন। এই সমস্ত ব্যাপারে নিকটস্থ হিন্দু রাজগণ ভীত হইয়া মহারাষ্ট্রীয়দিগের সাহায্য প্রার্থনা করিলে ১৭৪০ খৃষ্টান্ধে রঘুজী ভোসেল কর্ণাটে আসিয়া দোস্ত আলিকে বধ করেন, এবং চাদ সাহেব মহারাষ্ট্রীয়গণকর্তৃক বন্দী হইয়া সেতারায় প্রেরিত হন। মুরারিপস্ত নামক জনৈক মহারাষ্ট্ৰীয়ের উপর ত্রিচিন্নাপল্লীর শাসনভার অর্পিত হয়। দোস্ত আলির পুত্র সফদর আলি অনেক অর্থ দিয়া মহারাষ্ট্রীয়দিগের শরণাপন্ন হন, কিন্তু আর্কটে থাকিতে সাহসী না হওয়ায়, বেলোরে পলায়ন করেন। তথায় তাহার পিতৃব্যপুত্রের প্ররোচনায় তাহাকে নিহত হইতে হয়। এই সময়ে নিজাম দিল্লী হইতে দাক্ষিণাত্যে আগমন করিয়া খোজা আবদুল্লাকে কর্ণাটের নবাবী প্রদান করেন, কিন্তু অল্প কাল পরে তাহার মৃত্যু হওয়ায়, আনোয়ার উদ্দীন নিজাম কর্তৃক আর্কটের নবাব নিযুক্ত হন। নিজাম মুরারিপস্তকে ত্রিচিন্নাপল্পী হইতে বিতাড়িত করেন। আনোয়ার উদ্দীন কর্ণাটের নবাব হইলেও সকলে তাহাকে বা তদ্বংশীয়দিগকে তাদৃশ শ্রদ্ধা করিত না। কর্ণাটে তৎকালে সদতুল্লার বংশেরই অধিক সন্মান