পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৬৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ অধ্যায় । Woo :) কৰ্ম্মচারী আলিবর্দীর সম্মুখে উপস্থিত হইয় তাহাকে দুই শরের দ্বারা বিদ্ধ করিয়াছিলেন । উক্ত দুই শরের মধ্যে একটা আলিবর্দী খার হস্তস্থিত ধনুকে বিদ্ধ হয়, অপরট র্তাহার দক্ষিণ স্কন্ধে অল্পমাত্র প্ররিষ্ট হইয়াছিল। কিন্তু অবশেষে জয়ের কোন প্রকার আশা না দেখিয়া সরফ উদ্দীন যুদ্ধক্ষেত্র হইতে প্রস্থান করেন। রাজপুত বিজয় সিংহ খামরা শিবির হইতে এই সমস্ত সংবাদ অবগত হইয়া যুদ্ধস্থলে উপস্থিত হইয়া উৎসাহসহকারে যুদ্ধ আরম্ভ করিলে, আলিবর্দীর আদেশানুসারে দাওরকুলী খাঁ বন্দুকের গুলির আঘাতে র্তাহাকে নিষ্ঠত করিয়া ফেলেন। তাহার নবমবৰ্ষীয় পুত্র জালিম সিংহ পিতার মৃতদেহ রক্ষার জন্য নিস্কোষিত তরবারিহস্তে রণস্থলে দাড়াইলে, আলিবর্দী সৈন্তদিগকে তাহার প্রতি আঘাত করিতে নিষেধ করেন, এবং পরে বিজয় সিংহের মৃতদেহের যথারীতি সৎকার করিতে আদেশ দেন । * পাচু ফিরিঙ্গীর গোলন্দাজগণ পলায়ন করলেও তিনি নিজে তোপ ছাড়িতে ক্ৰটি করেন নাই। পরে সরফ উদ্দীন যুদ্ধক্ষেত্র পরিত্যাগ করিলে, আফগানেরা তাহার উপর নিপতিত হইয়া তাহাকে খণ্ড বিখণ্ড করিয়া ফেলে। আলমৰ্চাদ আহত হইয়া মুর্শিদাবাদে গমন করেন, তথায় তিনি অধিক দিন জীবিত ছিলেন না । । ফলতঃ সরফরাজের প্রত্যেক সেনাপতি ও কৰ্ম্মচারী অত্যন্ত বিশ্বস্ততার সহিত যুদ্ধ করিয়াছিলেন; তাহারা যেরূপ

  • জালিম সিংহের বিবরণ মুর্শিদাবাদ-কাহিনীর “একটা ক্ষুদ্র কাহিনী” শমিক প্রবন্ধ দ্রষ্টব্য।
  1. হলওয়েল বলেন যে, আলমচাঁদ গৃহে প্রত্যাগত হইলে, প্রভুইহিতার জন্ত আপন স্ত্রীর নিকট তিরস্কৃত হন, তাহার স্ত্রী এরূপও বলিয়ছিলেন যে, তিনিও গরিশেষে আলিবন্দী কর্তৃক উচিত ফল পাইবেল।