পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৭০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఆ) o মুর্শিদাবাদের ইতিহাস । ধৰ্ম্মের সহিত অনেক স্থানে মিশিয়া রহিয়াছে। হিন্দু ও বৌদ্ধধৰ্ম্মের এই সজঘর্ষণ বঙ্গভাষা ও সাহিত্যের অতি আদিম অবস্থায় ঘটিয়া ছিল। স্বতরাং তাহার বিশেষ রূপ বিবরণ পাওয়ার উপায় নাই। তবে হিন্দুধৰ্ম্ম বঙ্গদেশে বদ্ধমূল হইলে, যখন তাহার ভিন্ন ভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিবাদ উপস্থিত হয়, তখন হইতে বঙ্গসাহিত্য শ্ৰীবৃদ্ধি লাভ করিতে আরম্ভ করে। হিন্দুধর্মের মধ্যে প্রথমে শৈব ও শাক্ত মত প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছিল বলিয়া বোধ হয়। ক্রমে এই দুই মতের যাহা কিছু বিভিন্নতা ছিল, তাহ পরিশেষে এক হইয়া যায়, এবং আমরা পরবর্তী কালে শাক্ত ও বৈষ্ণব এই দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে কলহ দেখিতে পাই । আজিও বঙ্গদেশ ও বঙ্গসাহিত্য তাহার হস্ত হইতে নিষ্কৃতি পায় নাই। যে সময়ে বৈষ্ণবগণ শাক্তগণের উপর জয়লাভ করিয়া বাঙ্গলায় দুন্দুভিনিনাদ করিতে আরম্ভ করেন, সেই সময় হইতে আমরা বঙ্গসাহিত্যের সম্পূর্ণ স্বাতন্ত্র্য দেখিতে পাই। চণ্ডীদাস, বিদ্যাপতি প্রভৃতি পদকর্তা ইহার পথপ্রদর্শক এবং মহাপ্ৰভু চৈতন্তদেবের অনুচরগণ ইহার প্রবর্তক। সুতরাং চতুর্দশ শতাব্দীর শেষ ভাগ হইতে ষোড়শ শতাব্দী পৰ্য্যন্ত বঙ্গসাহিত্য এক নূতন পথে প্রধাবিত হইতে আরম্ভ করে, ক্রমে তাহ অনন্তের দিকেই অগ্রসর হইতেছে। এই লৌকিক ধৰ্ম্মশাখার সহিত অনুবাদশাখাও দিন দিন বঙ্গসাহিত্যের পুষ্টি সাধন করিয়াছিল। বৈষ্ণবধৰ্ম্ম সাধারণ লোকের ধৰ্ম্ম হইয়া উঠায়, বঙ্গসাহিত্যে তাহা প্রাধান্য লাভ করে। কিন্তু:শাক্ত ধৰ্ম্মও কোন কালে বঙ্গদেশে আপনার অস্তিত্ব হারায় নাই। বিশেষতঃ সংস্কৃতশাস্ত্রবিৎ ব্রাহ্মণ পণ্ডিতগণের ও ব্রাহ্মণ, কায়স্থ, বৈদ্য প্রভৃতি প্রধান শ্রেণার বঙ্গবাসিগণের অধিকাংশই छिद्रभिनहे শক্তি-উপাসক ছিলেন । এই শ্রেণীর মধ্যে ব্রাহ্মণপণ্ডিত