পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৭৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাদশ অধ্যায় । や○守 শিষ্যকে দর্শন দেওয়ার জন্য তাহার বাটীতে উপস্থিত হইয়া বিলম্ব করায়, নন্দকুমার একটু ক্ষুণ্ণ হন। রাধামোহন তাহ জানিতে পারিয়া নন্দকুমারকে বলেন যে, শিষ্য সকলেই সমান, গুরুর নিকট রাজা বা দরিদ্র শিষ্যের কোনই পার্থক্য নাই। তুমি যখন ইহাতে ক্ষুণ্ণ হইয়াছ, তখন আমি আর তোমার বাটতে পদার্পণ করিব না। তদবধি তিনি আর নন্দকুমারের বাট গমন করেন নাই। মহারাজ নন্দকুমার রাধামোহনের অত্যন্ত প্রিয় শিষ্য ছিলেন। আচাৰ্য্যপ্রভু কর্তৃক সপার্ষদ মহাপ্রভুর যে তৈলচিত্রের পূজা হইত, রাধামোহন স্নেহবশতঃ নন্দকুমারকে সেই চিত্র প্রদান করিয়াছিলেন । অদ্যাপি নন্দকুমারের দৌহিত্রবংশীয় কুঞ্জঘাটার রাজবংশ কর্তৃক তাহ প্রত্যহ পূজিত হইতেছে। রাধামোহন উক্ত কারণের জন্য আপনার প্রিয় শিষ্য নন্দকুমারকেও অগ্রাহ করিতে কুষ্ঠিত হন নাই। এইরূপ তাহার সম্বন্ধে অনেক বিষয় শ্রত হওয়া যায়। র্তাহার প্রসিদ্ধ কীৰ্ত্তি পদাম্তসমুদ্রও তাহার গৌরব ঘোষণা করিতেছে। বৈষ্ণবকবিগণের প্রসিদ্ধ সঙ্গীতাবলী আহরণ, এবং তৎসঙ্গে আপনার অনেকগুলি গীত গ্রথিত করিয়া তাহার পদাৰ্শ্বতসমূদ্র রচিত হয়। পদাম্তসমুদ্রে ৮৪২টা গীত আছে, তন্মধ্যে ৪০০টর অধিক তাহার স্বকৃত পদ। র্তাহার স্বকৃত পদাবলী হইতে র্তাহার কবিত্ব শক্তিরও বিশেষ রূপ পরিচয় পাওয়া যায়, তবে তাহ বিদ্যাপতি, চণ্ডীদাস প্রভৃতির তুলা বলিয়া বোধ হয় না। পদাযুতসমুদ্রের প্রথমেই জয়দেবের দশাবতারস্তোত্র সন্নিবিষ্ট হইয়াছে। রাধামোহন পদাযুতসমুদ্রের সংস্কৃত টীকা করিয়া বঙ্গভাষার গৌরব বৃদ্ধি করিয়া গিয়াছেন। পদাঘৃতসমুদ্রের পূৰ্ব্বে আউল মনোহর দাস পদসমুদ্র নামক পদাবলী প্রচার করিয়াছিলেন। রাধামোহন ঠাকুরের পর