পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম আধ্যায় । రి যে সমস্ত মুদ্র আবিষ্কৃত হইয়াছে তত্ত্বারা উহাই স্তির হয় । কোন কোন মুদ্রায় কমলাত্মিক, কোন কোন মুদ্রায় সিংহবাহিনী ঘূর্তি প্রভৃতি দৃষ্ট হুইয়া থাকে। রাঙ্গামাটা হইতেও ঐরূপ মুদ্র আবিস্তুত হইয়াছে। রাঢ়প্রদেশ গুপ্তরাজগণের অধিকারভুক্ত থাকায় সেই সময় হইতে কিরীটেশ্বরীর প্রাধান্ত বিস্তৃত হইতে আরব্ধ হয় বলিয়া অনুমান করা যাইতে পারে। গুপ্তবংশীয়গণ খৃঃ পূঃ প্রায় ৪০০ বৎসর হইতে খৃষ্টজন্মের পর কয়েক শতাব্দী পৰ্য্যন্ত ভারতের নানাস্থানে রাজত্ব করিয়াছিলেন । সুতরাং খৃঃ পূঃ ৪০০ বৎসরের পর হইতে কিরীটেশ্বরীর মাহাত্ম্য বিস্তৃত হইতে আরব্ধ হয় বলিয়া অনুমান করা নিতান্ত অসঙ্গত নহে । সমগ্র রাঢ়প্রদেশে সেই সময় হইতেই শক্তি-উপাসনা প্রাধান্ত লাভ করিতে আরম্ভ করে, অদ্যাপি রাঢ়প্রদেশে শক্তি-উপাসনার যথেষ্ট চিহ্ন বিদ্যমান রহিরাছে। গুপ্তবংশের অব্যবহিত পরে গৌড়দেশে প্রবলপরাক্রান্ত কোন রাজবংশের বিবরণ পাওয়া বায় না। তাহার অনেক পরে শূরবংশ, পালবংশ ও অবশেষে সেনবংশের রাজত্বের বিবরণ দৃষ্ট হয়। ইহাদের সময়েও কিরীটেশ্বরীর অস্তিত্ব লোপপ্রাপ্ত হয় নাই। পালবংশীয়গণ সাধারণতঃ বৌদ্ধ ধৰ্ম্মাবলম্বী হইলেও হিন্দুধৰ্ম্মের প্রতি র্তাহীদের বিদ্বেষ ছিল না, এবং তাহদের সময়েই হিন্দু ও বৌদ্ধ উভয় মতমিশ্রিত তান্ত্রিক ধৰ্ম্ম বঙ্গদেশে প্রাধান্ত লাভ করে। মুসন্মান রাজত্বকালেও কিরীটেশ্বরী একটা প্রধান তীর্থস্থান বলিয়া প্রসিদ্ধ ছিল। গৌড়ের পাঠানরাজগণের মুসল্যান সময়েও কিরীটেশ্বরীর গৌরবের কথা অবগত রাজত্বকাল। ইওরা যায়। মহাপ্ৰভু চৈতন্যদেবের সমসাময়িক মঙ্গল У о