পাতা:মুর্শিদাবাদ কাহিনী.djvu/২০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
মহারাজ নন্দকুমার
২০৩


পাইতেন। মহারাজ নন্দকুমারের পিতা পদ্মনাভও রাজস্ব-সংক্রান্ত বিষয়ে যথেষ্ট বুৎপত্তি লাভ করিয়াছিলেন এবং নন্দকুমারকেও বাল্যকাল হইতে সেই বিষয়ে শিক্ষিত হওয়ার


তাহার পর বার্কের পূর্বোল্লিখিত উক্তি পুনরুদ্ধত করিলে, বোধ হয় এ বিষয়ের পর্যাপ্ত প্রমাণ zofors on “and the general obloquy of the English nation, was an account of his attachment to his own prince and the liberties of his country.

 The character here given of him is that of an excellent patriot, on character which all your lordships in the several situations which you enjoy, or to which you may be called will envy; the character of servant who stuck to his master against all foreign encroachment who stuck to him to the last hour of his life, and had the lying testimony of his master to his services.” (Impeachment of Warren Hastings). সুতরাং মহারাজ নন্দকুমার যে স্বীয় প্রভুর ও স্বদেশের উদ্ধারার্থ ইংরেজগণের বিষদৃষ্টিতে পড়িয়া অবশেষে জীবন বলি দিতে বাধ্য হইয়াছিলেন, ইহাও আধুনিক বাঙ্গালী লেখকগণের কম্পিত উক্তি নহে। তাহার পর নবকৃষ্ণসম্বন্ধে ঘোষসাহেব উক্ত লেখকগণের যে মত উদ্ধৃত করিয়াছেন, সকলের ঐ প্রকার কঠোর মত না হইলেও, প্রতিদ্বনিদ্বতায় তিনি যে-কোন বিষয়ে মহারাজ নন্দকুমারের সমকক্ষ ছিলেন না, ইহাও কাল্পনিক কথা নহে। র্যাহার নিরপেক্ষ, তাহারা দুই জনেরই ক্ষমতা পরীক্ষা করিয়া দেখিবেন; তজন্য আমরা অপ্রীতিকর বিষয়ের অবতারণা করিয়া গ্রন্থ কলেবর বৃদ্ধি করিতে ইচ্ছা করি না। তবে তিনি যে নন্দকুমারের বিচারের সময় সাক্ষ্যপ্রদানে প্রতিদ্বনীর ভাব দেখাইয়াছিলেন, ঘোষসাহেব সহস্রপ্রকারে তাহার সমর্থনের চেষ্টা করিলেও নিরপেক্ষ ব্যক্তিমাত্রকেই উহা স্বীকার করিতেই হইবে। আমরা: যথাস্থানে সে সম্বন্ধে ঘোষসাহেবের উক্তির আলোচনা করিব। ইহার পর ঘোষসাহেব বলিতেছেন, —নন্দকুমার সম্বন্ধে উক্ত লেখকগণের যে মত উদ্ধৃত হইয়াছে তাহা ইতিহাস নহে, কিন্তু সুন্দর উপাখ্যান। লেখকগণ অধিক পরিমাণে কম্পনা আশ্রয় করিয়াছেন, এবং তাহারা প্রকৃত, ঐতিহাসিক ঘটনা পরিত্যাগ করিয়া আপনার ইতিহাসের সৃষ্টি করিয়াছেন। ঘোষসাহেবের এই উক্তিগুলি যে অতিসাহসের কথা তাহাতে সন্দেহ নাই। আমরা উপরে যে সমস্ত বিষয়ের প্রমাণ প্রদর্শন করিলাম, তাহ হইতে সাধারণে বিচার করিয়া দেখিবেন যে, বাঙ্গালী লেখকগণ প্রকৃত ঐতিহাসিক ঘটনা নির্দেশ করিয়াছেন, কি তাহারা ইতিহাসের সৃষ্টি করিয়াছেন। তাহার পর ঘোষসাহেব তাহার মহাপুরুষসম্বন্ধে যাহা বলিয়াছেন, তাহারও দুই এক স্থান উদ্ধৃত করিয়া দেখাইতেছি যে, বাঙ্গালী লেখকগণ তথাকথিত ইতিহাস সৃষ্টি করিয়াছেন, কি ঘোষসাহেব উক্ত ইতিহাসসৃষ্টির পথ প্রদর্শন করিয়াছেন। ঘোষসাহেব নবকৃষ্ণ-সম্বন্ধে বলিতেছেন— “Maharaja Nubkissen was the maecenas of Bengal. There never was in this province a more munificent or more enthusiatic patron of letters and the fine arts. His home was the favourite resort of men of learning. His sabha (Association) of Pandits was pre-eminently the first in the land. It has been popularly compared to the famous councils of Vikramaditya. It included men like Jugannath. Tarkapanchanan, Vaneswar Vidyalankar, Radhakant Tarkabagish.