পাতা:মুর্শিদাবাদ কাহিনী.djvu/২৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
মহারাজ নন্দকুমার
২৪৩


ফরিয়াদীর সাক্ষীদিগের মধ্যে মোহনপ্রসাদ অভিযোগের প্রথমে নন্দকুমার জাল করিয়াছেন বলিয়া স্পষ্ট জবানবন্দী দেয়। সুতরাং তাহার সম্বন্ধে অধিক বলিবার প্রয়োজন নাই।

- - - - - - - - - - -

have discredited his evidence. If he still hesitated, it is clear that it was a bonafide hesitation. It can never be pretended that he knew nothing of the matter on which he was called upon to give evidence, or that he knew the reverse of what he chose to say, and that out of spite against the prisoner or to help the prosecution, he by his hesitation, hereby put on a knowing aspect. What he did know was against the prisoner, and there was nothing to prevent his saying it outright, saying it with eagerness, and saying it with emphasis, exaggeration and ornament, if his purpose was to help the prosecution and damage the defence. The hesitation was displayed in a Court of Law, and not in a drawing room. Nubkissen was giving evidence and not coquetting with a friend. Why then was he so modest so sweetly reluctant so importunate not to be pressed? Obviously he was indulging in no affection, but was sincerely unwilling to bear evidence against a Brahmin whom he always regarded with kindly feelings and whose life was now at stake.” (Ghosh's Memoirs of Nubkissen, pp. 132-33).

 এরূপ না হইলে কি জীবনীলেখক হওয়া যায়। অষ্টাদশ শতাব্দী হইতে বর্তমান সময় পর্যন্ত সকল লেখকই একবাক্যে বলিযা থাকেন যে, নন্দকুমার ও নবকৃষ্ণ উভয়ে প্রতিদ্বন্দী ছিলেন এবং উভয়েই উভয়ের প্রতি খরদৃষ্টি নিক্ষেপ করিতেন। কিন্তু ঘোষমহাশয় বলিতেছেন যে, নবকৃষ্ণ নন্দকুমারের প্রতি অনুগ্রহদৃষ্টি করিতেন বলিয়া ব্রাহ্মণের জীবন বিপন্ন হওয়ায়, তিনি সাক্ষাপ্রদানে ইতস্ততঃ করিয়াছিলেন। আধুনিক বাঙ্গালী লেখকগণ কিন্তু এতটুকু স্বীকার করিতে পারেন নাই যে, নন্দকুমার মহাপুরুষ হইলেও নবকৃষ্ণের প্রতি র্তাহার উদার ভাব ছিল। যে ঘোষসাহেব আধুনিক বাঙ্গালী লেখকগণেব প্রতি আপনার লেখনীবাণ বর্ষণ করিয়াছেন, তিনি নিঃসঙ্কোচে ও অমানবদনে এই সারসত্যটি ঘোষণা করিলেন যে, নবকৃষ্ণ নন্দকুমারের প্রতি অনুগ্রহদৃষ্টি করিতেন। এই সম্বন্ধে তাহার প্রধান প্রমাণ সম্ভবতঃ নন্দকুমারের চট্টগ্রামনির্বাসনব্যাপার। আমরা পূর্বে সে বিষয়ের আলোচনা কয়িয়াছি। যাহা হউক, যে ঘোষসাহেব নিজ নায়ককে মহাপুরুষরূপে অঙ্কিত করিবার জন্য প্রতিজ্ঞাপূর্বক অতিরঞ্জনের তুলিক হস্তে ধারণ করিয়াছিলেন, আধুনিক বাঙ্গালী লেখকগণের প্রতি তীব্র কটাক্ষ করিবার সময় সে কথাটি কি র্তাহার স্মৃতিপথে নিমেষের জন্যও উদিত হয় নাই? অন্ততঃ র্তাহার নায়কের ন্যায় একটু ইতস্ততঃ ভাবপ্রকাশের ইচ্ছাও কি হয় নাই? যাহা হউক তাহার সাহসকে ধন্যবাদ প্রদান না করিয়া থাকা যায় না। কিন্তু একটি কথা বলিয়। রাখি যে, তাহার অসমসাহসিকতা থাকিলেও র্তাহার নবকৃষ্ণকে সাধারণের নিকট উপস্থাপিত করার পূর্বে র্তাহার স্বাভাবিক বিবেচনা-শক্তির কিঞ্চিম্মাত্র প্রয়োগ করাও কি উচিত ছিল না? তিনি যাহাই বলুন না কেন, নবকৃষ্ণ নন্দকুমারের