পাতা:মৃচ্ছকটিক.djvu/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ অঙ্ক । SR) রদ –(নিরাশভাবে নিঃশ্বাস ফেলিয়া) জাদু ! এখন আর আমাদের সোনার ব্যবহার কোথায় ? বাবার যখন আবার টাকা হবে, তখন তুই সোনার গাড়ি নিয়ে খেলবি। এখন ওকে কোনও রকম করে ভুলিয়ে রাখি—যাই ওকে বসন্তসেনা-ঠাকরণের কাছে নিয়ে যাই । (নিকটে গিয়া )ঠাকরণ ! প্রণাম । বসং —এসে রদনিকে এসো ! এ ছেলেটি কার ? গায়ে কোন অলঙ্কার নেই, তবু চাদমুখটি দেখে আমার এত ভাল লাগচে । রদ –এটি চারুদত্ত মহাশয়ের পুত্র—নাম রোহসেন ! বসং —( বাহু প্রসারণ করিয়া ) আয় বাছা আমার কোলে আয় । ( কোলে বসাইয়া) দেখতে ঠিক বাপের মত । রদ —শুধু চেহারা নয়, আমার মনে হয় স্বভাবটিও বাপের মত হয়েছে। এখন তিনি একে দেখেই যা কিছু সাত্ত্বনা পান। বসং —কাচে কেন ? রদ —আমাদের প্রতিবাদীর একটি ছেলে সোনার খ্যালনা-গাড়ি নিয়ে খ্যালা করছিল—এ দেখতে পেয়ে সেটি হাতে করে নিলে—আর ক্রমাগত সেইটি চাইতে লাগ ল—আমি ভোলাবার জন্ত তার বদলে একটি মাটির গাড়ি এনে দিলুম। কিন্তু ছেলেটকি ভোলবার পাত্র – আমাকে বললে, “রদনিক ! আমি এই মাটির গাড়ি নিয়ে কি করব— আমাকে সেই সোনাল গাড়িটি দেও।” বসং —আ ছিছি। পরের দ্রব্য নেবার জন্ত কাদচে ? ভগবান দৈব ! পদ্ম-পত্রের জলবিন্দুর মত পুরুষের ভাগ্য নিয়ে তোমার খেলা ? জুছি! কেঁদোনা—সোনার গাড়ি পাবে। বালক —রদনিক ! এ কে ? বসং -আমি তোর পিতার গুণ-মুগ্ধ দাসী।