পাতা:মৃচ্ছকটিক.djvu/১৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম অঙ্ক | >\yo‘n সেই অপমান-কথা, ভাবি মনে কোন মতে হল নিশি ভোর ॥ আচ্ছ, এখন তবে বিচার-মণ্ডপে যাই ( প্রবেশ করিয়া ) বিচারপতি মশায়ের কল্যাণ হোক্‌ ! বিচ —এই যে নগর-রক্ষীদের প্রধান বীরক। বীরক! তোমার এখানে কি প্রয়োজন ? বীরক –দেখুন, যে আর্য্যক কারাগার থেকে পালিয়েছে, তাকেই খুঁজতে খুঁজতে দেখতে পাওয়া গেল একটা গাড়ি যাচ্চে-গাড়িটার দরজা বন্ধ । তার পর, সেই গাড়ীর তদন্ত করবার সময়, আমি আমার উপরওয়ালা সদার চন্দনকে বল্লেম—“তুই দেখেছিস্—আমারও দেখতে হবে" । এই কথায় সে আমাকে লাথি মারলে । আমি সমস্ত আপনার কাছে নিবেদন করলেম—এখন আপনি বিচার করুন। বিচা —বাপু তুমি কি জানো সে গাড়িটা কাৰ ? বীরক —গাড়ি চারুদত্ত-মহাশয়ের, বসন্তসেনা আরোহী, পুষ্পকরণ্ডক পোড়ে বাগানে আমোদ-প্রমোদের জন্য র্তাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, —গাড়োয়ান এই কথা আমাকে বল্লে । শকার –আপনি তো আবার শুনলেন বিচারপতি-মহাশয় ? বিচা — ও গো ! এ যে শুভ্ৰ-জ্যোস্না শশাঙ্করে রাহু ফ্যালে গ্রাসি’, ভাঙ্গি পড়ে তট-ভূমি ঘোলাইয়া স্বচ্ছ জলরাশি ॥ দেখ বীরক, পরে তোমার অভিযোগের বিচার করব। আপাতত, এই বিচার-মণ্ডপের দ্বারে যে অশ্ব আছে, তাতে আরোহণ করে পুপকরগুৰু