পাতা:মৃণালিনী-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• মৃণা 海

  • ,

মাম্বৰাচাৰ্য্য কহিলেন, “আর যদি মৃণালিনী মরিয়া থাকে ?” হেমচন্দ্রের চক্ষু হইতে অগ্নিফুলিঙ্গ নির্গত হইল । তিনি কছিলেন, “স্তবে সে আপুরিই কাজ।” মাধবাচার্য্য কহিলেন, “আমি স্বীকার করিতেছি, আমিই দেৰকাৰ্য্যেৰ কণ্টককে বিনষ্ট করিয়াছি।” হেমচন্ত্রের মুখকাস্তি বর্ষণোন্মুখ মেঘবং হইল । ত্রস্তহস্তে ধন্ধুকে শরসংযোগ করিয়া কহিলেন, "যে মৃণালিনীর বধকর্ত, সে আমার বধ্য। এই শরে গুরুহতা ব্ৰহ্মহত্য উভয় ছক্রিয়া সাধন করিব।” মাধবাচার্য্য হাস্ত করিলেন, কহিলেন, “গুরুহত্যায় ব্ৰহ্মহত্যায় তোমার যত আমোদ, স্ত্রীহত্যায় আমার তত নহে। এক্ষণে তোমাকে পাতকের ভাগী হইতে হুইবে না। মৃণালিনী জীবিত আছে। পার, তাহার সন্ধান করিয়া সাক্ষাৎ কর। এক্ষণে আমার আশ্রম হইতে স্থানান্তরে যাও। আশ্রম কলুষিত করিও না ; অপাত্রে আমি কোন ভার দিই না।” এই বলিয়া মাধবাচার্যা পূর্ববং জপে নিযুক্ত হইলেন। হেমচন্দ্র আশ্রম হইতে নির্গত হইলেন। ঘাটে আসিয়া ক্ষুদ্র তরণী আরোহণ করিলেন। যে দ্বিতীয় ব্যক্তি নৌকায় ছিল, তাহাকে বলিলেন, “দিগ্বিজয় ! নৌকা झांष्ट्विग्नां मांe ।” 酸 দিগ্বিজয় বলিল, “কোথায় যাইব ?” হেমচন্দ্র বলিলেন, “যেখানে ইচ্ছা— যমালয় ।” _ o দিগ্বিজয় প্রভুর স্বভাব বুঝিত। অস্ফুটম্বরে কহিল, “সেটা অল্প পথ।” এই বলিয়। সে তরণী ছাড়িয়া দিয়া স্রোতের প্রতিকূলে বাহিতে লাগিল। & হেমচন্দ্র অনেকক্ষণ নীরবে থাকিয়া শেষে কহিলেন, “দূর হউক। ফিরিয়া চল ।” দিগ্বিজয় নৌকা ফিরাইয় পুনরপি প্রয়াগের ঘাটে উপনীত হইল। হেমচন্দ্ৰ লম্ফে তীরে অবতরণ করিয়া পুনৰ্ব্বার মাধবাচার্য্যের আশ্রমে গেলেন। র্তাহাকে দেখিয়া মাধবাচাৰ্য্য কহিলেন, “পুনর্বার কেন আসিয়াছ ?” . হেমচন্দ্ৰ কহিলেন, “আপনি যাহা বলিবেন, তাহাই স্বীকার করিব। মৃণালিনী ८कांधांग्न श्रांtष्ट थांख्ठां रुद्भन्न ।” মা। তুমি সত্যবাদী—আমার আজ্ঞাপালন করিতে স্বীকার করিলে, ইহাতেই আমি সন্তুষ্ট হইলাম। গৌড়নগরে এক শিষ্যের বাটীতে মৃণালিনীকে রাখিয়াছি। তোমাকেও সেই প্রদেশে যাইতে হইবে। কিন্তু তুমি তাহার সাক্ষাৎ পাইবে না। শিম্ভের