পাতা:মৃণালিনী-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-- .* भूङ ; : ; হেমচন্দ্র কছিলেন, “আমি যে হই না কেন ? শা। আপনি এখানে কি করিতেছেন ? ছেম । আমি এখানে যবনানুসন্ধান করিতেছি । শাস্তুশীল চমকিত হইয়া কহিল, যবন কোথায় ?” হে। এই গৃহমধ্যে প্রবেশ করিয়াছে। 3. শাস্তুশীল ভীত ব্যক্তির স্থায় স্বরে কছিল, “এ গৃহে কেন ?” হে । তাহা আমি জানি না। শা। এ গৃহ কাহার ? হেম । তাহ জানি না । শ। তবে আপনি কি প্রকারে জানিলেন যে, এই গৃহে যবন প্রবেশ করিয়াছে ? হেম । তা তোমার শুনিয়া কি হইবে ? শা। এই গৃহ আমার। যদি যবন ইহাতে প্রবেশ করিয়া থাকে, তবে কোন অনিষ্টকামনা করিয়া গিয়াছে, সন্দেহ নাই। আপনি যোদ্ধা এবং যবনদ্বেষী দেখিতেছি । যদি ইচ্ছা থাকে, তবে আমার সঙ্গে আমুন—উভয়ে চোরকে ধৃত করিব। হেমচন্দ্র সম্মত হইয়া শাস্তুশীলের সঙ্গে চলিলেন । শাস্তলীল সিংহদ্বার দিয়া পশুপতির গৃহে হেমচন্দ্রকে লইয়া প্রবেশ করিলেন এবং এক কক্ষমধ্যে প্রবেশ করিয়া কহিলেন, “এই গৃহমধ্যে আমার সুবর্ণ রত্নাদি সকল আছে, আপনি ইহার প্রহরায় অবস্থিতি করুন। আমি ততক্ষণ সন্ধান করিয়া আসি, কোন স্থানে যখন লুৱায়িত আছে।” এই কথা বলিয়াই শাস্তুশীল সেই কক্ষ হইতে নিষ্ক্রান্ত হইলেন। এবং হেমচন্দ্র কোন উত্তর দিতে না দিতেই বাহির দিকে কক্ষদ্ধার রুদ্ধ করিলেন । হেমচন্দ্র র্যাদে পড়িয়া বন্দী হইয়া রহিলেন । একাণপন্ধি মুক্ত মনোরম পশুপতির নিকট বিদায় হইয়াই ক্রতপক্ষে চিত্ৰগৃহে আসিল। পশুপতির সহিত শান্তশীলের কথোপকথন সময়ে শুনিয়াছিলযে ঐ ঘরে হেমচন্দ্র রুদ্ধ হইয়াছিলেন।

o--