পাতা:মৃণালিনী-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ժ: বিষয় ও বর্ণন সামঞ্জস্তে কেহ কেহ মৃণালিনী'কে দুর্গেশনন্দিনী'র অব্যবহিত পরের না বলিয়াছেন ; কপালকুণ্ডলা কাব্যাংশে এই দুই গ্রন্থের অপেক্ষ উংকৃষ্ট হওয়ার দরুন রূপ ধারণ হওয়া সম্ভব। আসলে মৃণালিনী'ও কাব্যাংশে অতি উংকৃষ্ট । বিশেষ করিয়া রিজায়া ও মৃণালিনীর মুখে বঙ্কিমচন্দ্র যে সকল সঙ্গীত ও ছড়া সন্নিবিষ্ট করিয়াছেন, হা তাহার অদ্ভূত কাব্য-কল্পনা-কুশলতার পরিচায়ক ; ইন্দিরী’ ও ‘আনন্দমঠ ব্যতীত র আর কুত্ৰাপি বঙ্কিমচন্দ্রের এই অসাধারণ ক্ষমতার প্রয়োগ দেখা যায় না। পরবর্তী কালে বঙ্কিমচন্দ্রের রচনায় স্বাদেশিকতা ও স্বদেশপ্রেমের যে ফুৰ্ত্তি দেখা , মৃণালিনীতে তাহার অন্ধুর দেখিতে পাই। মৃণালিনী'র নাট্যরূপ সৰ্ব্বপ্রথম ন্যাশনাল থিয়েটারের উদ্যোগে জোড়াসাঁকে ঠাল-বাড়ীতে ১৮৭৪ খ্ৰীষ্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রদর্শিত হয়। মৃণালিনী'র ইংরেজী অমুবাদ হয় নাই। বঙ্কিমচন্দ্রের জীবিত কালে ১৮৮০ খ্ৰীষ্টাব্দে Simha কর্তৃক হিন্দুস্থানীতে অনূদিত হইয়া ইহা লক্ষে হইতে প্রকাশিত হয়। রন্দ্রমোহন ভট্টাচাৰ্য্য হেমচন্দ্র' নামে ইহার পরিশিষ্ট ১৯০৫ খ্ৰীষ্টাব্দে প্রকাশ করেন। হারাণচন্দ্র রক্ষিত, শচীশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, অক্ষয়কুমার দত্তগুপ্ত, জয়ন্তকুমার দাশগুপ্ত ভৃতি মৃণালিনী সম্বন্ধে সামান্য সামান্ত আলোচনা করিয়াছেন। গিরিজাপ্রসন্ন রায় ধুরী, পূর্ণচন্দ্র বস্তু ও ললিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃণালিনী'র চরিত্রবিশ্লেষণ উল্লেখগ্য। মৃণালিনী’-বিষয়ে সাময়িক-পত্ৰাদিতে প্রকাশিত প্রবন্ধের সংখ্যাও কম নয়। মৃণালিনী'র প্রথম সংস্করণের একটি খণ্ডিত কপি আমরা ডক্টর ঐযুক্ত মুশীলকুমার সৌজন্তে পাঠনির্ণয়ার্থ পাইয়াছি।