হে। “সাবধান, মনোরমে! বাসনা হইতে ভ্রান্তি জন্মে; ভ্রান্তি হইতে অধর্ম্ম জন্মে। তোমার ভ্রান্তি পর্য্যন্ত হইয়াছে। তুমি বিবেচনা করিয়া বল দেখি, তুমি যদি ধর্ম্মে একের পত্নী, মনে অন্যের পত্নী হইলে, তবে তুমি দ্বিচারিণী হইলে কি না?”
গৃহমধ্যে হেমচন্দ্রের অসিচর্ম্ম ঝুলিতেছিল; মনোরমা চর্ম্ম হস্তে লইয়া কহিলেন, “ভাই, হেমচন্দ্র, তোমার এ ঢাল কিসের চামড়া?”
হেমচন্দ্র হাস্য করিলেন। মনোরমার মুখ প্রতি চাহিয়া দেখিলেন, বালিকা।
সপ্তম পরিচ্ছেদ।
গিরিজায়ার সম্বাদ।
গিরিজায়া যখন পাটনীর গৃহে প্রত্যাবর্ত্তন করে, তখন প্রাণান্তে হেমচন্দ্রের নবানুরাগের কথা মৃণালিনীর সাক্ষাতে ব্যক্ত করিবে না স্থির করিয়াছিল। মৃণালিনী তাহার আগমন প্রতীক্ষায় পিঞ্জরে বদ্ধ বিহঙ্গিনীর ন্যায় চঞ্চলা হইয়া রহিয়াছিলেন; গিরিজায়াকে দেখিবামাত্র কহিলেন, “বল গিরিজায়ে, কি দেখিলে? হেমচন্দ্র কেমন আছেন?”
গিরি জায়া কহিল “ভাল আছেন?”
মৃ। “কেন, অমন করিয়া বলিলে কেন? তোমার কণ্ঠস্বরে উৎসাহ নাই কেন? যেন দুঃখিত হইয়া বলিতেছ কেন?”
গি। “কই কিছু না।”