হৃষীকেশ।
মৃণালিনীর সঙ্গে সঙ্গে তাঁহার শয়নাগারে আসিয়া হৃষীকেশ কহিলেন,
“মৃণালিনি! তােমার এ কি চরিত্র?”
মৃ। “আমার কি চরিত্র?”
হৃ। “তুমি অজ্ঞাত কুলশীলা পরকন্যা, গুরুর অনুরােধে আমি তােমাকে গৃহে স্থান দিয়াছি। তুমি আমার কন্যা মণিমালিনীর সঙ্গে এক শয্যায় শয়ন কর—তােমার কুলটাবৃত্তি কেন?”
মৃ। “আমার কুলটাবৃত্তি যে বলে সে মিথ্যাবাদী।”
হৃষীকেশের ক্রোধে অধর কম্পিত হইল। কহিলেন, “কি পাপীয়সি! আমার অন্নে উদর পােষণ করিয়া দুষ্কর্ম্ম করিবি, আর আমাকে দুর্ব্বাক্য বলিবি? তুই আমার গৃহ হইতে দূর হ। না হয় মাধবাচার্য্য ক্রোধ করিবেন, তা বলিয়া এমন কাল সর্প গৃহে রাখিতে পারিব না।”
মৃ। “যে আজ্ঞা—কালি প্রাতে আর আমাকে দেখিতে পাইবেন না।”
হৃষীকেশের বােধ ছিল যে যে কালে তাঁহার গৃহবহিষ্কৃতা হইলেই মৃণালিনী আশ্রয়হীনা হয়, সে কালে এমত উত্তর তাঁহার সম্ভবে না। কিন্তু মৃণালিনী নিরাশ্রয়ের আশঙ্কায় কিছুমাত্র ভীত নহে দেখিয়া মনে করিলেন যে তিনি আত্মজার গৃহে স্থান পাই বার ভরসাতেই এরূপ উত্তর করিলেন। ইহাতে তাঁহার