পাতা:মৃণ্ময়ী (কপালকুণ্ডলা দ্বিতীয় ভাগ).djvu/১৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ֆ8Ջ. ु ! কঁপি দিই। কিন্তু আমার আয়াল বৃথা হইল। কপালকুগুলাকে আর উদ্ধার করিতে পারিলাম মা ।” - এই কথা বলিতে বলিতে নবকুমারের মনে পূর্বস্তুতির উদয় হইল। মনে শোক উপস্থিত হইল। তিনি অতিকষ্টে অশ্রু সম্বরণ করিয়া কছিলেন,-- - “কেন ? পদ্মাবতি ! অস্ত এ সকল কথা জিজ্ঞাসিতেহু কেন ?” খfওঁ কছিলেম,--“এ কথার অালোলাম তোমার মনে যাতন উপস্থিত ছষ্টতে, চহা জণি তথাপি না জিজ্ঞামিলে নয় । আমি এ সক কথা আজ কেন জিজ্ঞাসিতেছি শুন ।” এই বলিয়া পদ্মাবতী ও গম্বুল অঙ্গুরীয় বৃত্তাস্ত নবকুমারের নিকট যথাযথ বলিলেন। সে সকল কথা শুনিতে শুনিতে নবকুমারের লোচন প্রস্তুে অঞ্জ আবিভূড হইল ! পদ্মাবতী সমস্ত কথা বলিমা কছিলেন,-- “নাথ ! ইছাতে ড়ো র কি বোধ হয় ?” নব। “বোধ কি হইবে ? ইছা আমার বুদ্ধির অষ্ট্ৰীও । কপাল । কুণ্ডলা নাই এবং থাকা ও নিতান্ত অসম্ভব ইহা অামি বেশ জানি । তবে আমার দুর্দৃষ্টের সমস্ত ক্লেশের এখনও শেষ হয় নাই। এই জষ্ঠ সময়ে সময়ে কপালকুণ্ডলার অস্তিত্ব সম্বন্ধে ছায়ার ন্যায় প্রমাণ সকল জুটিতেছে। ও কিছুই নয় কেবল সমধিক ব্যাকুলিত হইবার এবং ক্লেশ ও যাতনা পাইবার কারণ " - পদ্মা । “কিন্তু তুমি যাই বল আমার যেন বোধ ছয় কপালস্কুণ্ডলা আছেন। বোধ করি কোন প্রকারে তিনি মুক্তি লাভ করিয়া থাকিবেন " " | * মৰ। (দীর্ষ নিঃশ্বাস সহকারে ) “পদ্মাবতি । ও সকল কষ্ট কম্পমা কেন করিতেছ? আমি নিতান্তু হতভাগা। আমার কষ্টের সীমা নাই। অম্ভের হইলে বাছা হয় ইত, আমার অদৃষ্টে কখনই