পাতা:মেঘদূত-কালিদাস-অখিলচন্দ্র পালিত.djvu/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উত্তৰ মেঘ । st “ক্ষীণ তনু তার, তোমার মতন, তপ্তদীর্ঘশ্বাস বহে তোমারি মতন ঝরে দুনয়ন, তবসম দেহ তাপিত সতত ; তোমারি মতন দয়িত তোমার উৎকলিকাকুল হয়েছে নিশ্চয়, বাম-বিধি-বশে বদ্ধপথ তার তাই সে সুদূর প্রবাসেতে রয় ; তব অঙ্গলত নিজ অঙ্গসনে কল্পনার বশে মিশায়ে এখন, সে মিলনে কত হরষিত মনে দেখিছে অভাগী সুখের স্বপন ॥৩৯ ॥ “তোমার এই অঙ্গলত যেমন ক্ষীণ হইয়া পড়িয়াছে, তাহার অঙ্গ ও সেইরূপ শীর্ণ হইয়া গিয়াছে। তোমাকে যেমন সৰ্ব্বদt বিরহোঞ্চ দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলিতে দেখিতেছি, তাহারও সৰ্ব্বদ। সেই রূপ দীর্ঘ ও তপ্ত নিঃশ্বাস বহিতেছে । তোমার দেহ যেমন তগু ও তোমার চক্ষে যেমন বারিধtয়, তাহার দেহ ও তেমনি তপ্ত ও তিনিও তেমনি সৰ্ব্বদা অশ্রমোচন করিতেছেন। তুমি যেমন উৎকণ্ঠিত হইয়াছে, তোমার গতি ও তাদৃশ উৎকণ্ঠাকুল হইয়াছেন। কিন্তু উপায় কি ? বিধি-বশে তিনি দুরে অবস্থিত, তোমার নিকটে আদিবার ত সাধা নাই। তাই সেই তোমার অভাগা পতি কেবল কল্পনাবশে তোমার দেহের সহিত, নিজদেহ মিশাইয়া মুখের স্বপ্ন দেখিতেছেন। ৩৯