পাতা:মেঘদূত-কালিদাস-অখিলচন্দ্র পালিত.djvu/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৰ্ব্বমেঘ। . . ২৯ “পথেতে নিৰ্ব্বিন্ধ্যা-তব প্রণয়িনী ধাইছে উপল-শ্বলিত তরঙ্গে, উৰ্ম্মি প্রতিহত মরাল-কিঙ্কিণী নিতম্বে তাহার বাজে যেন রঙ্গে ! নিয়নাভি আহাঁ দেখায় কেমনি সলিল-আবৰ্বে (তব সঙ্গ আশে ) ! লও রসাস্বাদ, চতুরা রমণী বিভ্রম বিলাসে বাসন প্রকাশে ॥ ২৮ ॥ ১–৮ ॥ “বিদিশা হইতে উজ্জয়িনীর পথে—বিদিশা হইতে একটু পশ্চিমে— নিৰ্ব্বিন্ধ্যা নদী। উপল-প্রতিহত নদীস্রোত স্বলিত হইয়া চলিতেছে, যেন ধেীবনবেগে নায়িকার পদস্খলন হইতেছে! যেখানে পাথর নাই, সেখানে নদীর জল ঘুরিয়া ঘুরিয়া চলিতেছে, আবৰ্ত্ত পড়িতেছে, যেন নায়িকা বিভ্রম বশতঃ তাহার নাভিদেশ দেখাইতেছে। হংসের দল সারি বাধিয়া নদীর স্রোত পার হইবার চেষ্টা করিতেছে,-কিন্তু তরঙ্গের ৰেগ যেমন হংস শ্রেণীর উপর পড়িতেছে,~~হংসগণ অমনি কুঞ্জন করিয়া উঠিতেছে ;–বোধ হইতেছে যেন বিলাসিনীর চন্দ্রস্থার কশিত হইতেছে! তুমি এই নিৰ্ব্বিন্ধ্যার জল গ্রহণ করিও, রসা, স্বাদ লইও। রমণীগণ হাব ভাব দ্বারাই প্রণয় কামনা জ্ঞাপন করে।