পাতা:মেঘদূত-কালিদাস-অখিলচন্দ্র পালিত.djvu/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

llelo আমরা বলিয়াছি, কালিদাস সৌন্দর্য্যের কবি ; সৌন্দৰ্যই তাহার বিশেষ সাধন । ষ iহার যেটা চির-সাধনার বস্তু, তিনি তাহা সৰ্ব্বত্র ফুটাইয়া তুলিতে পারেন ; সৰ্ব্বত্র তিনি সেই বস্তুরই পরিচয় প্রাপ্ত হন এরূপ ন হইলে, র্তাহাকে সেই বস্তুর সাধনায় সিদ্ধ বলিতে পারা যায় । না। মহাকবি ভবভূতিও মহাগৰ্ত্তীর—সুপ্ত-অজগর-শ্বাসগজ্জিত-ভীষণ অরণ্যানীর বর্ণনা করিয়াছেন। কালিদাসও কিম্পুরুষমিথুনাম্পদ হিমাচলের বর্ণনা করিয়াছেন। উভয়েই মহাকবি, উভয়েই বিচিত্র প্রাকৃতিক বর্ণনায় সিদ্ধহস্ত। কিন্তু কালিদাসের বর্ণনায়—ভবভূতির সেই ভীতিমিশ্রিত গাম্ভীৰ্য্য হৃদয়কে আচ্ছন্ন ও স্তস্তিত করে না। কালিদাসের লিপি মধুরতাময়ী। হিমাচল-বর্ণনে উহা পদে পদে কেবল কোমল সৌন্দর্য্যের হুষ্টি করিয়া তুলিয়াছে। উহা নির্জন হিমাচলের নীরব গহ্বরে বিশ্রদ্ধভাবে সমুপবিষ্ট গীতিপরায়ণা কিম্পুরুষ-কামিনীর ঘর্ষবিন্দু প্লাবিত গণ্ডভিত্তির শোভ হষ্টি করিয়াছে! ত্রীরামচন্দ্রের বাণাঘাতে রুধিরাক্ত কলেবরে তাড়ক যখন প্রাণত্যাগ করে, পাঠক সেই বীভৎস-রসের মধ্যেও কালিদাসের তুলিকা, সেই মুমু তাড়কাতে সুগন্ধি-গন্ধচর্চিতা কুসুমভরণা একটী সুন্দরী অভিসারিকার চিত্র অঙ্কিত করিয়া দিয়াছে। কালিদাসের সর্বত্রই এইরূপ। অন্ত সৰ্ব্বপ্রকার রস আচ্ছন্ন করিয়া তাহার তুলিকায় কেবল অতুলনীয় সৌন্দৰ্য্যচ্ছটা সৰ্ব্বত্র বিকীর্ণ হইয়া উঠিয়াছে। ইহ কম সাধনার কথা নহে। না বুঝিয়া সাহিত্যদপকার আলঙ্কারিক রসভঙ্গ-দোষের কথা উত্থাপিত করিয়াছেন! কৈলাসের–কুবের-শাসিত সাম্রাজ্যের চিত্রপটট কি সুন্দর । তথাকার সকলই সুন্দর। গ্রাম, তরু, লতা, নর, নারী সকলই সৌন্দর্ঘ্যের সমৃদ্ধিতে সমৃদ্ধ। পৌরজনবর্গ দুঃখের ক্যাঘাত কাহাকে বলে, আদৌ তাহ অবগত নহে। "পের-নারীবর্ণ সদা প্রফুল-সদা হাস্তময়ী—সৰ্ব্বদ।