বেগবতী স্রোতস্বতী পর্ব্বত কন্দরে!
কাঁপিল কৈলাসগিরি থর থর থরে!
কাঁপিল আতঙ্কে বিশ্ব; সভয়ে অভয়া
কৃতাঞ্জলিপুটে সাধ্বী কহিলা মহেশে,—
এই উদাহরণে বর্ণনীয় মহাদেবের ক্রোধ যেরূপ মহৎ তাহার বর্ণনাও তদনুরূপ হইয়াছে। সংক্ষেপে সমালোচন করা এ প্রস্তাবের উদ্দেশ্য; নতুবা দেখান যাইত, মেঘনাদে ঐরূপ উন্নত ভাবের বর্ণনা কত আছে।
এস্থলে ইহাও উল্লেখ করা অপ্রাসঙ্গিক নহে, যে বীর ও রৌদ্র প্রভৃতি উৎকৃষ্টতর রসের উদ্দীপন করাই বীররসাশ্রিত কাব্যের প্রধান উদ্দেশ্য। সুতরাং উহাতে হাস্য ও আদিরস ঘটিত ভাব নিবেশিত করিলে প্রায় তাহার সৌন্দর্য্য থাকে না। করি হাস্যরসোদ্দীপক ভাবের পরিহারে যেরূপ যত্নবান ছিলেন, বোধ হয়, আদিরসের বর্ণনায় সর্ব্বত্র সেরূপ সাবধান হইয়া চলিতে পারেন নাই। তিনি, একটা অনুচিত স্থলে আদিরস অবতীর্ণ করিয়াছেন। দ্বিতীয় সর্গের যেস্থলে ভগবতী রামচন্দ্রের পূজায় প্রসন্ন হইয়া কামদেবকে সঙ্গে করিয়া মোহিনীবেশে মহাদেবের তপস্যা ভঙ্গ করিতে যান, ঐ সময়ে, কাম কহিতেছেন!