চৌর্য্যে রত, হইল সে তোমার প্রসাদে
মৃত্যুঞ্জয়, যথা মৃত্যুঞ্জয় উমাপতি!
হে বরদে, তব বরে চোর রত্নাকর
কাব্য রত্নাকর কবি! তোমার পরশে,
সুচন্দন বৃক্ষশোভা বিষবৃক্ষ ধরে?
হায়, মা, এ হেন পুণ্য আছে কি এ দাসে?
কিন্তু যেগো গুণহীন সস্তানের মাঝে
মূঢ়মতি, জননীর স্নেহ তার প্রতি
সমধিক। ঊর তবে, ঊর পরাময়ি
বিশ্বরমে! গাইব মা, বীর রসে ভাসি,
মহাগীত; ঊরিদাসে দেহ পদছায়া।
বাঙ্গালা ভাষায় কোন কাব্যেই এরূপ সুন্দর ও অলঙ্কার ভূষিত সরস্বতী বন্দনা দেখিতে পাওয়া যায় না।
প্রথমতঃ কাব্যের প্রধান প্রতিপাদ্য বিষয়ের উল্লেখ, তৎপরে সেই প্রতিপাদ্য বিষয়টী বিশদরূপে বর্ণনার্থ ঐরূপে সরস্বতীর বন্দনা ও তাঁহার নিকটে অনুগ্রহ প্রার্থনা করা গ্রন্থকারের পক্ষে যে কিরূপ ন্যায়ানুগত হইয়াছে, সহৃদয় পাঠকগণ তাহা অনায়াসে বুঝিতে পারিবেন সন্দেহ নাই।
প্রথমসর্গে গ্রন্থকার রাবণের যে সভা বর্ণন করিয়াছেন, সেটা উন্নত, সাড়ম্বর ও অলঙ্কার ভূষিত