পাতা:মেঘ-মল্লার - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মেঘ-মল্লার سSy | সে সময় এখানে এ রকম জঙ্গল ছিল না। এ সমস্ত জায়গা তখন কীৰ্ত্তি রায়ের অধিকারে ছিল। এইখানে তার সুদৃঢ় দুর্গ ছিল—মগ জলদসু্যদের সঙ্গে তিনি অনেক বার লড়েছিলেন। তঁর অধীনে সৈন্যসামন্ত, কামান, যুদ্ধের কোষা সবই ছিল। সদ্দীপ তখন ছিল পর্তুগীজ জলদস্যদের প্রধান BDBDLSS S M BDuD LDBBD BDDBDDSS S DDBBD BDL t BBB BBDDD জমিদারকেই সৈন্যবল দৃঢ় ক’রে গড়তে হত। এ বনের পশ্চিম ধার দিয়ে তখন SBDD DBBDD DB DBDDB uuDu BBDkDS BBB BB DBDuD DBD gBBDLD DDYS কীৰ্ত্তি রায় অত্যন্ত অত্যাচারী এবং দুৰ্দ্ধৰ্য জমিদার ছিলেন। তার রাজ্যে এমন সুন্দর মেয়ে কমই ছিল, যে তার অন্তঃপুরে একবার না। ঢুকেছে। তা ছাড়া তিনি নিজেও এক প্রকার জলদসু্য ছিলেন। তঁর নিজের অনেকগুলো যড় ছিপ ছিল। আসপাশের জমিদারী এমন কি নিজের জমিদারীর মধ্যেও সম্পত্তিশালী গৃহস্থের ধনরত্ন স্ত্রী-কন্যা লুঠপাট-করা-রূপ মহৎ-কাৰ্য্যে সেগুলি दादशङ ठू'ऊ ! কীৰ্ত্তি রায়ের পাশের জমিদারী ছিল কীৰ্ত্তি রায়ের এক বন্ধুর। এরা ছিলেন চন্দ্ৰদ্বীপের রাজা রামচন্দ্র রায়েদের পত্তনিদার। অবশ্য সে সময় অনেক পত্তনিদারের ক্ষমতা এখনকার স্বাধীন রাজাদের চেয়ে বেশী ছিল। কীৰ্ত্তি রায়ের বন্ধু মারা গেলে তঁার তরুণবয়স্ক পুত্র নরনারায়ণ রায় পিতার জমিদারীর ভার পান। নরনারায়ণ তখন সবে যৌবনে পদাৰ্পণ করেছেন, অত্যন্ত সুপুরুষ, বীর ও শক্তিমান। নরনারায়ণ কীৰ্ত্তি রায়ের পুত্ৰ চঞ্চল রায়ের সমবয়সী ও বন্ধু। সেবায় কীৰ্ত্তি রায়ের নিমন্ত্রণে নরনারায়ণ রায় তঁর রাজ্যে দিনকতকের জন্যে বেড়াতে এলেন। চঞ্চল রায়ের তরুণী পত্নী লক্ষ্মী দেবী স্বামীর বন্ধু নরনারায়ণকে দেবরের মত স্নেহের চক্ষে দেখতে লাগলেন। দু’এক দিনের মধ্যেই কিন্তু সে স্নেহের চোটে নরনারায়ণকে বিত্রত হ’য়ে উঠতে হ’ল । নরনারায়ণ রায় তরুণবয়স্ক হ’লেও একটু গম্ভীর-প্রকৃতি। বিদ্যুৎ-চঞ্চলা তরুণী বন্ধুপত্নীর ব্যঙ্গ পরিহাসে গম্ভীর-প্রকৃতি নরনারায়ণের মান বঁাচিয়ে চলা দুষ্কর হয়ে পড়ল। --মান ক’রে উঠেছেন, মাথার তাজ খুজে পাওয়া যায় না, নানা