পাতা:মেঘ-মল্লার - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Syte e color; জান হ’লে দেখতে পেলেন তিনি এক অন্ধকার স্থানে শুয়ে আছেন, তার সামনে কি যেন একটা বড় নক্ষত্রের মতন জ্বলিছে। --খানিকক্ষণ জোরে চোখের পলক ফেলবার পর তিনি বুঝলেন যাকে নক্ষত্র বলে মনে হয়েছিল তা প্ৰকৃত পক্ষে একটি অতি ক্ষুদ্র গবাক্ষপথে আগত দিবালোক ।- নরনারায়ণ দেখলেন। তিনি একটি অন্ধকার কক্ষের আর্দ্র মেজের ওপর শুয়ে আছেন, ঘরের দেওয়ালে স্থানে স্থানে সবুজ শেওলার দল গজিয়েছে। আরো কি-দিন আরো কি-রাত কেটে গেল । কেউ তার জন্যে কোন খাদ্য আনলে না, তিনি বুঝলেন যারা তঁাকে এখানে এনেছে তাকে না খেতে দিয়ে মেরে ফেলাই তাদের উদ্দেশ্য। মৃত্যু | সামনে নিৰ্ম্মম মৃত্যু!- সে দিনমানও কেটে গেল। আঘাত-জনিত ব্যথায় এবং ক্ষুধা-তৃষ্ণায় অবসয়-দেহ নরনারায়ণের চোখের সামনে থেকে গবাক্ষ-পথের শেষ দিবালোক মিলিয়ে গেল।--তিনি অন্ধকার ঘরের পাষাণ-শয্যায় ক্ষুধা-কাতর দেহ প্রসারিত ক’রে অধীরভাবে মৃত্যুর অপেক্ষা করতে লাগলেন।--প্রকৃতির একটা ক্লোরোফৰ্ম্ম আছে, যন্ত্রণা পেয়ে মবঙ্গে এমন প্রাণীকে মৃত্যু-যন্ত্রণা থেকে বঁাচাবার জন্যে সেটা মুমূর্ষু প্ৰাণীকে অভিভূত কবে। ধীবে ধীরে যেন সেই দয়াময়ী মৃত্যু-তন্দ্র এসে তাকে ও আশ্ৰয় করলে। অনেকক্ষণ পৰে, কতক্ষণ পরে তা তিনি বুঝতে পারলেন না-হঠাৎ আলো চোখে লেগে তার তন্দ্ৰাঘোর কেটে গেল । বিস্মিত নরনাবায়ণ চোখ মেলে দেখলেন, তঁাব সামনে প্ৰদীপ-হস্তে দাড়িয়ে তার বন্ধুপত্নী লক্ষ্মী দেবী। কথা বলতে গিযে লক্ষ্মী দেবীর ইঙ্গিতে নরনারায়ণ থেমে গেলেন। লক্ষ্মী দেবী হাতের প্রদীপটি আঁচল দিয়ে ঢেকে নরনারায়ণকে তঁর অনুসরণ করতে ইঙ্গিত করলেন। একবার নরনারায়ণের সন্দেহ হ’ল-এসব স্বপ্ন নয় তা ? কিন্তু ঐ যে দীপশিখার উজ্জ্বল আলোয় আদ্র ভিত্তিগাত্রের সবুজ শেওলার দল স্পষ্ট দেখা भुम्न !• • • DDDDDDDD DBDBDB BDBBSBDD DB DDB BBD BBD DDBDD গ্ৰাস থেকে বাঁচবার উৎসাহে তিনি দৃঢ়পদে অগ্রবর্কিনী ক্ষিপ্ৰগামিনী বন্ধুপত্নীর পশ্চাৎ পশ্চাৎ চললেন । একটা বক্ৰগতি পাথরের সিড়ি দিয়ে উপরে উঠে