পাতা:মেঘ-মল্লার - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*கல் মেঘ-মঞ্জীর লোকটি মারা গেল। বহু অনুসন্ধানেও গড়ের কোন অংশে সে গুপ্ত-গৃহ ছিল। छt cक ठे नक्षiन कब्रहउ श्रांब्रएल न। এই রকমে কীৰ্ত্তি রায় ও তঁর পরিবারবর্গ অনাহারে তিলে তিলে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে গড়ের যে কোন নিভৃত ভূ-গর্ভস্থ কক্ষে মৃত্যুমুখে পতিত হলেন, তার আর কোন সন্ধানই হ’ল না।--সেই বিরাট প্রাসাদা-দুর্গের পর্বত-প্রমাণ মাটিপাথরের চাপে হতভাগ্যদের শাদা হাড়গুলো যে কোন বায়ুশূন্য অন্ধকার ভূ-কক্ষে তিলি তিলে গুড়ো হচ্ছে, কেউ তার খবর। পৰ্য্যন্ত জানে না। ওই ছোট খালটা প্ৰকৃত পক্ষে সন্দ্বীপ চ্যানেলেরই একটা খাড়ি । খাড়ির ধায় থেকে একটুখানি গেলে গভীর অরণ্যের ভিতর কীৰ্ত্তি রায়ের গড়ের বিশাল ংসন্তাপ এখনও বৰ্ত্তমান আছে দেখা যাবে। খাল থেকে কিছু দূরে অরণ্যের মধ্যে দুই সার প্রাচীন বকুল গাছ দেখা যায়, এখন এ বকুল গাছের সারের মধ্যে দুর্ভেদ্য জঙ্গল আর শূলে-কঁটার বন, তখন এখানে রাজপথ ছিল। আর খানিকটা গেলে একটা বড় দীঘি চোখে পড়বে। তারই দক্ষিণে কুচো ইটের জঙ্গলাবৃত স্তুপে অৰ্দ্ধ-প্রোথিত হাঙ্গর মুখো পাথরের কড়ি, ভাঙা থামের অংশ -বারভূইয়াদের বাংলা থেকে, রাজা প্রতাপাদিত্য রায়ের বাংলা থেকে বৰ্ত্তমান যুগের আলোয় উকি মারছে। দীঘির যে ইষ্টক-সোপানে সকাল-সন্ধ্যায় তখন অতীত যুগের রাজবধূদের রাঙা পায়ের অলক্তক রাগ ফুটে উঠত, এখন সেখানে দিনের বেলায় বড় বড় বাঘের পায়ের থাবার দাগ পড়ে, গোথুরা কেউটে সাপের দল ফণা তুলে ঘুরে বেড়ায়। বহুদিন থেকেই এখানে একটা অদ্ভুত ব্যাপার ঘটে থাকে। দুপুর রাতে গভীর বনভূমি যখন নীরব হয়ে যায়, হিন্তাল হিজল গাছের কালে গুড়িগুলো অন্ধকারে যখন বনের মধ্যে প্রেতের মত দাড়িয়ে থাকে’, ‘সন্দ্বীপ চ্যানেলের জোয়ারের ঢেউয়ের আলোকোৎক্ষেপী লোনা জল খাড়ির মুখে জোনাকীর। মতন জলতে থাকে- তখন খাল দিয়ে নৌকা বেয়ে যেতে যেতে মোম-মধু ংগ্ৰাহকেরা কতবার শুনেছে, অন্ধকার বনের এক গভীর অংশ থেকে কারা যেন আৰ্ত্তস্বরে চীৎকার করছে-ওগো পথযাত্রীরা, ওগো নৌকাযাত্রীরা