পাতা:মেঘ-মল্লার - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মেঘ-মার S89 ঘণ্টাখানেক পরে অন্নপূর্ণ বলিলেন-ওরে, তোরা সব এক এক টুকরো পাতা পেতে বোস তো দেখি ? গরম গরম দিই। ক্ষেন্তি, জল দেওয়া DBDqB BBSLuSDL BDBDD DBBD BDBBBD DBDD BDD S ক্ষেন্তির নিকট অন্নপূর্ণার এ প্রস্তাব যে খুব মনঃপূত হইল না, তাহা তার মুখ দেখিয়া বোঝা গেল। পুটি বলিল-মা, বড়দি পিঠেই থাক। ভালবাসে। ভাত বরং থাকুক, আমরা কাল সকালে খাব। খানকয়েক খাইবার পরেই ছোট মেয়ে রাধা আর খাইতে চাহিল না । সে নাকি অধিক মিষ্ট খাইতে পারে না। সকলের খাওয়া শেষ হইয়া গেলেও ক্ষেন্তি তখনও খাইতেছে! সে মুখ বুজিয়া শান্তভাবে খায়, বড় একটা কথা কহে না। অন্নপূর্ণা দেখিলেন, সে কম করিয়াও আঠারো উনিশ খানা খাইয়াছে। জিজ্ঞাসা করিলেন-ক্ষেন্তি আর নিবি ?...ক্ষেন্তি খাইতে খাইতে শান্ত ভাবে সম্মতিসূচক ঘাড় নাড়িল। অন্নপূর্ণ। তাহাকে আরও থানকয়েক দিলেন। ক্ষেন্তির মুখ চোখ ঈষৎ উজ্জল দেখাইল, হাসি-ভরা চোখে মা’র দিকে চাহিয়া বলিল—বেশ খেতে হয়েছে, মা। ঐ যে তুমি কেমন ফেনিক্সে নেও, ওতেই কিন্তু-সে পুনরায় খাইতে লাগিল । অন্নপূর্ণ হাতা, খুন্তি, চুলী তুলিতে তুলিতে সস্নেহে তার এই শান্ত নিরীহ একটু অধিক মাত্রায় ভোজনপটু মেয়েটির দিকে চাহিয়া রহিলেন। মনে মনে ভাবিলেন-ক্ষেন্তি আমার যার ঘরে যাবে, তাদের অনেক সুখ দেবে । এমন ভালমানুষ, কাজ-কৰ্ম্মে বকো, মারো, গাল দাও, টু’ শব্দটি মুখে নেই । উচু কথা কখনো কেউ শোনেনি বৈশাখ মাসের প্রথমে সহায়হারির এক দূর-সম্পৰ্কীয় আত্মীয়ের ঘাটকালিতে ক্ষেস্তির বিবাহ হইয়া গেল। দ্বিতীয় পক্ষে বিবাহ করিলেও পাত্রটির বয়স চল্লিশের খুব বেশী কোন মতেই হইবে না। তবুও প্রথমে এখানে অন্নপূর্ণ আদৌ ইচ্ছুক ছিলেন না, কিন্তু পাত্ৰটি সঙ্গতিপন্ন, সহর অঞ্চলে বাড়ী, সীলেট চুণ ও ইটের ব্যবসায়ে দু’পয়সা নাকি করিয়াছেএরকম পাত্ৰ হঠাৎ মেলাও বড় দুঘন্ট কিনা ৷