পাতা:মেঘ-মল্লার - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

〔评照-雷博 SS তো সে কাণ্ডজ্ঞান নেই, কিন্তু যদি কেউ দেখে তো এর সমস্ত কষ্টটা ওকেই ভুগতে হবে। একদিন বৌদিদি জিজ্ঞাসা করলেন-বিমল, গোকুল পিঠে খেয়েছ ? আমার মা খুব ভাল গোকুল-পিঠে তৈরী করতেন, কাজেই ও জিনিষটা আমি খুব খেয়েছি। কিন্তু বৌদিদিকে একটু আনন্দ দেওয়ার জন্য বললুম। -সে কিরকম বৌদি ? s আর রক্ষা নেই। তার পরদিনই বিকাল বেলা বৌদিদি কলার পাতে মোড়া পিঠে নিয়ে হাজির । আমায় বললেন—তুমি এখানে আমার সামনেই খাও। ঘড়ার জলে হাত ধুয়ে ফেল এখন। আমি বললুম-সৰ্ব্বনাশ বৌদি। এই এতগুলো পিটে খেতে খেতে এ পথে লোক এসে পড়বে, সে হয় না, আমি বাড়ী গিয়েই খাব। বৌদি ছাড়বার পাত্রীই নন, বললেন—না কেউ আসবে না বিমল। তুমি এখানেই খাও । খেলুম। পিঠে খুব ভাল হয় নি। আমার মায়ের নিপুণ হাতের তৈরী পিঠের মত নয়। বোধ হয় নতুন করতে শিখেছেন, ধারগুলো পুড়ে গিয়েছে, আস্বাদও ভাল নয়। বললুম-বা: বৌদি, বড় সুন্দর তো ! এ কোথায় তৈরী করতে শিখলেন, আপনার বাপের বাড়ীর দেশে বুঝি ? বৌদির মুখে আর হাসি ধরে না। হাসিমুখে বললেন-এ আমি আমাদের গুরুম। এসেছিলেন, তিনি সহরের মেয়ে, অনেক ভাল খাবার করতে জানেন র্তার কাছে শিখে নিয়েছিলাম । তারপর সারা শীতকাল অন্যান্য পিঠের সঙ্গে সেই গোকুল-পিঠের পুনরাবৃত্তি চলল। ঐ যে বলেছি আমার ভাল লেগেছে, আর রক্ষা নেই! qक कथi अigछ । কিছুদিন ধ'রে আমার মনের মধ্যে একটা আগ্রহ একটু একটু ক’রে জন্মছিল জীবনটাকে খুব বড় ক’রে অনুভব করবার জন্যে। আমার এ কুড়ি একুশ বছর বয়সে এই ক্ষুদ্র পাড়াগায়ে খাচার পাখীর মত আবদ্ধ থাকা SS