পাতা:মেঘ-মল্লার - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

【霹、t辅· এমন বন্ধুস্থাক্রমে ছড়ানো পড়ে থাকত যে, কুটীরের মধ্যে পা রাখবার স্থান *अश्वा श्ब्र । প্ৰতিদিন প্ৰাতঃকালে স্নান ক’রেই লোকনাথ কুটীরের সামনের প্রাচীন নিম গাছটার ছায়ায় গিয়ে বসতেন এবং একমনে পড়তেন। এক একদিন অবসন্ন গ্রীষ্ম-অপরাকু ঈষত্তপ্ত বাতাসের সঙ্গে সদ্য-ফোটা, নিমফুলের পরাগ মাখিয়ে এক অপূৰ্ব্ব লোকের সৃষ্টি করত, সেখানে শুরুকেশ আৰ্যভট্ট শিষ্য শকটায়নকে নীলাশ্যন্তে খড়ি একে গ্রন্থ নক্ষত্রের সংস্থান-উপদেশ করতেন, বুনো পাখীর অশ্ৰান্ত কাকলীর মধ্যে যাঙ্ক ভাষাতত্ত্ব আলোচনায় ব্যস্ত থাকতেন, দুৰ্বোধ্য জ্যামিতিক সমস্যার সামনে পড়ে সেখানে কুঞ্চিত-ললাট পরাশর তার অন্যমনস্ক দৃষ্টি অত্যন্ত একমনে সম্মুখস্থ বন্ধীকতৃপের দিকে আবদ্ধ DD D BDYDYJDBBDB DBLYL u DBDDBDBDBBB BDDuDuD LD ODD S YY DBBBDB BD DD uuL DS BDBSBDBD BD DBiDBS BDBDB DBB DDBDD আলোচনাকারী যাস্কের মুখকে সম্মুখস্থ নদীজলে সন্তরণকারী বন্য হংসের মুখের মত কল্পনা করছিলেন ! স্নাত্রে আকাশের নক্ষত্রগুলোর দিকে চেয়ে চেয়ে লোকনাথ ভাবতেন, এগুলো কি ? প্রাচীন জ্যোতির্বিদগণের পুথি এখানে তঁাকে বড় সাহায্য করত না। অবশেষে তিনি নিজে ভেবে ভেবে স্থির করলেন নক্ষত্রসমূহ এক প্রকার বৃহৎ স্ফাটক পিণ্ড । পৃথিবীতে আলো দেওয়ার জন্যে এগুলো আকাশে আছে, চন্দ্রকে তিনি নক্ষত্রদের অপেক্ষ। বৃহত্তর স্ফাটক পিণ্ড ব’লে ভেবেছিলেন। তঁর মৃত্যুর পর তঁর হস্তলিখিত একখানি পুথিতে দেখা যায় তিনি গ্রহনক্ষত্ৰ সংক্রান্তু তেঁার এ মতবাদ লিপিবদ্ধ ক’রে রেখে গিয়েছেন । তাদের আলোর উৎপত্তি সম্বন্ধে লোকনাথ লিখেছিলেন যে, পৃথিবীতে ফাটক প্ৰান্তরের যে শ্রেণী দেখতে পাওয়া যায়, মহাব্যোমস্থ এই সমস্ত স্ফাটক তার অপেক্ষা উৎকৃষ্টতর শ্রেণীর হওয়ায় তাদের অভ্যন্তর থেকে এক প্রকার স্বভাবজ জ্যোতি বায় হয়ে থাকে। এ সংক্রান্তু বহু প্ৰমাণ ও বহু জ্যামিতির রেখা ও অন্ধন তার ঐ পুথিখানিতে ছিল দেখা যায়, কিন্তু লোকনাথের প্রতিভা অত্যন্ত উচ্চশ্রেণীর হওয়ায় তিনি তঁর মত সম্বন্ধে আদৌ গোড়া ছিলেন নয়,