পাতা:মেঘ-মল্লার - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१२ 6-2 কটা ঘাস-ওয়াল মাঠের মাঝে মাঝে পত্র-বিয়াল বাবলা গাছে গাড়শালিকের ঝাক কিচ কিচ কচ্ছে-নদীর বা পাড়ের গায়ে গৰ্ত্তের মধ্যে তাদের বাসা। মাকাল-লতার ঝোপের তলায় জলের ধারে কোথাও উচু উচু বন মুলোর বাড়, তাদের কুচে কুচো হলদে ফুল থেকে জায়ফলের মত একটা ঘন গন্ধ উঠছে ।-- বেলা আর একটু পড়লে আমরা সেই বাওড়ের ধারের মাঠে তঁাবুৰ জায়গা কোথায় ঠিক হ’বে দেখতে গেলুম। নদীর ধার থেকে গ্রাম একটু দূর হ'লেও গ্রামের মেয়েরা নদীতেই জল নিতে আসে। আমাদের যেখানে নৌকাখানা বাধা হয়েছিল, তার বঁা-ধারে খানিকটা দূরে মাটিতে ধাপ কাটা কাচা ঘাট। গ্রামের একজন বৃদ্ধ বোধহয় নদীতে গ্রীষ্মের দিনের বৈকালে স্নান করতে আসছিলেন, তঁাকে আমরা জিজ্ঞাসা করলুম-রসুলপুর কোন গা খানার নাম মশাই-সামনের এটা, না। ওই পাশে ? তিনি বললেন-আজ্ঞে না, এটা হ’ল কুমুরে, পাশের ওটা আমডাঙ্গারসুলপুর হল এ গা-গুলোর পেছনে, কোশ দুই তফাৎ-আপনার ? আমাদের পরিচয় শুনে বৃদ্ধ বললেন---এই মাঠটিাতেই আপনার ক্টাবু ফেলবেন ?--আপনাদের জরিপের কাজ শেষ হ’তেও তো পাচ ছয় 幫芥... আমরা বললুম-ত তো হবেই, বরং তার বেশী--- বৃদ্ধ বললেন-এখানটা একটা ঠাকুরের স্থান, গায়ের মেয়েরা পূজো দিতে আসে, বরং আর একটু সরে গিয়ে নদীর মুখের দিকে তাবু ফেলুন, নৈলে মেয়েদের একটু অসুবিধে বৃদ্ধের নাম ভুবন চক্ৰবৰ্ত্তী। জরিপ আরম্ভ হ’য়ে গেলে নিজের দরকারে চক্ৰবৰ্ত্তী মশায় দলিল-পত্র বগলে অনেকবার তাবুতে যাতায়াত সুরু ক’রে দিলেন, সকলের সঙ্গে তঁার বেশ মেশামোশি ও আলাপ পরিচয় হ’য়ে গেল। তঁর পৈতৃক জমা-জমি অনেকে নাকি ফাকি দিয়ে দখল কয়ছে, আমাদের সাহায্যে এবার যদি সেগুলোর একটা গতি হয়-এই সব ধরণের কথা তিনি श्रांभांबा श्रांझे दृश्रुांनांtऊन ।