পাতা:মেঘ-মল্লার - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মেঘ-মায় est সকলে বললে-পুকুরে ডুবে মরেছে। পুকুরে জাল ফেলা হয়, কোন সন্ধান মেলে না। বউয়ের কচি মুখের ও নিরীহ চোখের ভাব মনে হয়ে লোকের মনে অন্য কোন সন্দেহ জাগবার অবকাশ পেল না। কত দিকে কত সন্ধান ক’রে যখন কোন খোজই মিলল না, চৌধুরী মশায় মানসিক শোক নিবারণ করবার জন্যে চতুৰ্থ পক্ষের স্ত্রী ঘরে আনলেন। অজ পাড়া-গা, নতুন কিছু একটা বড় ঘটে না, অনেকদিন এটা নিয়ে নাড়াচাড়া চলল। তারপর ক্ৰমে সেটা কেটে গিয়ে গ্রাম ঠাণ্ড হ’ল । এই মাঠের পূবধারে গ্রামের মধ্যেই চৌধুরীদের বাড়ী ছিল। তখন এইখান দিয়েই নদীর স্রোত বইত-ম’জে বাওড় হয়ে গিয়েছে তো সেদিন, আমরা ছেলেবেলাতেও ধান-বোঝাই নৌকা চলাচল হ’তে দেখেছি। ক্ৰমে চৌধুরীদের সব মারে হেজে গেল, শেষ পৰ্য্যন্ত বংশে একজন কে ছিল, উঠে গিয়ে অন্য কোথাও বাস করলে। , এ সব অনেক বছর আগেকার কথা, সত্তর আশী বছর খুব হবে। সেই থেকে কিন্তু আজ পৰ্য্যন্ত এই সব মাঠে বড় এক অদ্ভুত ব্যাপার ঘটে শোনা যায়। এই ফান্ধন চৈত্র মাসে যখন খুব গরম পড়ে, তখন রাখালেরা গরু চরাতে এসে দূর থেকে কতদিন দেখেছে, মাঠের ধারে বনের মধ্যে নিভৃত দুপুরে বঁাশবনের ছায়াসু কে যেন শুয়ে আছে, কাছে গেলে কেউ কখনো দেখতে পায়নি । • • •কতদিন সন্ধ্যর সময় তারা গরুর দল নিয়ে গ্রামের মধ্যে যেতে যেতে শুনেছে, অন্ধকার ঝোপের মধ্যে যেন একটা চাপা কান্নার রব উঠছে।••• সুমুখ জ্যোৎস্না-রাত্রে অনেকে নদীর ঘাট থেকে ফেরবার পথে ছাতিম গাছের নীচু ডালের তলা দিয়ে যেতে যেতে দেখেছে, দূর মাঠে সন্ধ্যার আবছায়া জ্যোৎস্নার মধ্য দিয়ে সাদা কাপড় প’রে কে যেন ক্ৰমেই দুরে চ'লে যাচ্ছে --তার সমস্ত গায়ের সাদা কাপড়ে জ্যোৎস্না প’ড়ে চিকমিক্‌ করতে থাকে। SSDDDD BBB BDY DBBD DBDBBS DB DBBBDBD DBBB KDLDDD তলায় দাড়িয়ে ভাল ক’রে দেখলে মনে হয়, কে খানিকটা আগে এইখানে দাড়িয়ে ডাল নীচু ক’রে ফুল পেড়ে নিয়ে গিয়েছে, তার ছোট ছোট পায়ের দাগ, ঝোপ যেখানে বড় ঘন সেদিকেই চ’লে গিয়েছে।--