পাতা:মেঘ-মল্লার - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মেঘ-মার bgم$ পরদিন হইতে তিনি তাহাকে অবসর-মত নানা ভক্তিগ্ৰন্থ পাঠ করিয়া শোনাইতে আরম্ভ করিলেন। নরোত্তম ঠাকুরের প্রার্থনা মুখস্থ করাইয়া দিলেন, প্ৰতি সকালে উঠিয়া বালককে তঁাহার সম্মুখে আবৃত্তি করিতে হয়। ভাগবত হইতে শ্ৰীকৃষ্ণের বাল্য-লীলা পড়িয়া শোনান। সন্ধ্যার সময় বসিয়া বালককে ডাকিয়া বলেন-ঠাণ্ডা হয়ে বসে, একটা গল্প করি ! পরে মাধবেন্দ্রপুরীর উপাখ্যান বর্ণনা করেন। মহাভক্ত মাধবেন্দ্রপুরী বৃন্দাবনে গিয়া শৈল পরিক্ৰমা করিয়া গোবিন্দ কুণ্ডের বৃক্ষতলায় সন্ধ্যার অন্ধকারে নির্জনে বসিয়া আছেন, এক গোপাল বালক একভাণ্ড দুগ্ধ লইয়া আসিয়া পুরীর সম্মুখে ধরিয়া বলিল, তুমি কাহারও কাছে কিছু চাও না কেন ? বোধ হয়। সারাদিন উপবাসী আছএই ধরে। দুগ্ধ । পুরী আশ্চৰ্য্য হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, তুমি কি করিয়া BDBDDBD DBD DBBBB DDu DDBD BDD DBBD DDS DBBDBB BBDBS জল লইতে আসিয়া তোমাকে দেখিয়া গিয়াছে, এখানে কেহ উপবাসী থাকে। DD S BDDBDD BiD BDBDB BD DBDDB BBDB DBBDBDSS DBD BDS গরু দুহিয়া আসিয়া লইয়া যাইব । বালক চলিয়া গেল, কিন্তু ভাণ্ড লইতে। আর ফিরিল না। --রাত্রে পুরী স্বপ্ন দেখিলেন, সেই বালক আসিয়া নিকটবৰ্ত্তী এক বনে তঁাহার হাত ধরিয়া লইয়া গিয়া বলিতেছে, দেখি পুরী, আমি বহুদিন হইতে এই বনের মধ্যে আছি। যবনের অক্রমণের ভয়ে আমার সেবক এইখানে আমায় ফেলিয়া রাখিয়া পালাইয়া গিয়াছে, কেহ দেখে নাই ; শীত-বৃষ্টি-দাবানলে বড় কষ্ট পাই, তুমি আমার একটা ব্যবস্থা ক’রে। অনেকদিন হইতে তোমার পথ চাহিয়া বসিয়া আছি।--মাধব আসিয়া কবে আমায় সেবা করিবে ! মাধবপুরী মঠ স্থাপন করিয়া সেখানে শ্ৰীগোপাল বিগ্রহ স্থাপন করিলেন । পর বৎসর নীলাচল হইতে মলয়-চন্দন আনিয়া বিগ্রহের অঙ্গে লেপন করিয়া দিবেন। ভাবিয়া ঝাড়খণ্ডের পথে পুরী নীলাচল যাত্রা করিলেন।-- যাইতে যাইতে রেমুনাতে আসিয়া রাত্রিবাসের জন্য তথাকার গোপীনাথ