পাতা:মেঘ-মল্লার - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(चश्-भाँ s SDDDSLM BD uKDuBB BBLLLDDS বারবার সে তাহাকে প্রশ্ন করে-বাবা কৃষ্ণ কোথায় থাকেন ? বৃন্দাবনে ? ---প্ৰতিদিন এক প্রশ্নে বিরক্ত হইয়া কৰ্ণপুর বলেন- হঁ। ই থাকেন। ইহার পর হইতেই সে সুর ধরে-বৃন্দাবন কোথায় বাবা, আমি বৃন্দাবন যাবো, • • কর্ণপুর ভাবিলেন, ইহার কিছুই হইতেছে না দেখিতেছি-আমার পরিশ্রম সবই পাণ্ড হইতেছে, এ কিছুই বোঝে না, শুধু বাজে দুষ্টামির দিকে ধোক । বার বার তাগাদায় বালক কর্ণপুরকে বিরক্ত করিয়া তুলিল। কিছু দিন পরে দূর-গ্রামে তঁাহার এক ধান্য-ক্ষেত্রের কাৰ্য্য ধরাইবার জন্য কর্ণপুরের সেখানে যাওয়ার প্রয়োজন হইল। পূৰ্ব্ব হইতেই ঠিক করিয়াছিলেন, বালক যেরূপ দুষ্ট হইয়া উঠিয়াছে তাহাকে সঙ্গে লইয়া গিয়া চোখে চোখে রাখাই ভাল, এক কাজে দুই কাজ হইবে । বর্ণপুর বলিলেন-চল নীলু। আমরা বৃন্দাবনে যাই । উৎসাহে বালকের রাত্রে নিদ্রাবন্ধের উপক্ৰম হইল। প্ৰতি রাত্রে সে জিজ্ঞাসা ক’রে যাইবার আর কয় দিন বাকী -- গন্তব্য স্থানে পৌছিতে সন্ধ্যা হইয়া গেল। সেদিন রাত্ৰে শুইয়। সে কর্ণপুত্রকে বিরক্ত করিয়া তুলিলআমি কৃষ্ণকে দেখতে যাবো বাবা ! কৃষ্ণ কোথায় গরু চরান বাবা ? কাল সকালে উঠে যাবে।-- পরদিন স্বীয় ধান্যক্ষেত্রে যাইবার সময় কর্ণপুর তাহাকে সঙ্গে করিয়া লইয়া গেলেন ও ক্ষেত্র হইতে কিছু দূরে পথের ধারে বসাইয়া রাখিয়া বলিলেনএখানে চুপ করে বসে থাকে, কৃষ্ণ এই পথে যাবেন। উঠে এদিক ওদিক গেলে কিন্তু আর দেখতে পাবে না। চুপ ক'রে বসে থাকে। সন্ধ্যার কিছু পূর্বে ক্ষেত্রের কার্য্য শেষ করিয়া কৰ্ণপুর বালককে লইতে আসিলেন। তঁহাকে দেখিয়া সে মহা উৎসাহে বলিল-দেখেছি বাবা, এই মাত্র কৃষ্ণ গরুর পাল চরিয়ে নিয়ে ফিরে গেলেন-তুমি এতক্ষণ কোথায় ছিলে ? তুমি দেখতে পেলে না!