পাতা:মেজ বউ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম পরিচ্ছেদ। প্ৰবোধ।” চল দুজনে যাই, বউএর শরীর ভাল নয়, অনাহারে থাকা কৰ্ত্তব্য নয়। উভয়ে হরিশ্চন্দ্রের ঘরে উপস্থিত হইলেন। হরিশ তখনও ঘরে ফিরেন নাই। প্রমদা গোপালকে কোলে করিয়া মুখচুম্বন পূর্বক অনেক মিষ্ট কথা বললেন। গোপাল মেজ কাকীর বক্ষঃস্থলে আবার মস্তক রাখিয়া নিদ্রিত হইল। প্রমদা হরমুন্দরীর মস্তকের কাপড় টানিয়া বলিলেন, “দিদি দেখ ! কে এসেছেন দেখা!” হরসুন্দরী প্ৰবোধচন্দ্রের মুখের দিকে একবার চাহিয়া আবার মুখ আবরণ করিলেন। মানিনী কি-না ! প্ৰবােধ “সেকি বউ দিদি ! এই আমাকে এত ভালবাস, এত দিনের পর এলাম, একটা কথাও কইলে না।” বলিয়া মুখের আবরণ খুলিয়া দিলেন। মুখের আবরণ উদঘাটিত হইল, কিন্তু হরসুন্দরী চক্ষু মুদিয়া রছিলেন, যেন নূতন বউয়ের মুখ দেখাইতেছেন। দেখিয়া প্রমদা এবং প্ৰবোধচন্দ্র উভয়েরই হাস্তের উদয় হইল। অবশেষে প্ৰমাদ হরপুন্দরীর বাহু ধরিয়া বার কত “ওঠ ওঠ” করাতে হরম্বন্দী ধূলি-ধূসরিত অঙ্গযষ্টি তুলিলেন। ইতিপূৰ্বেই মান এবং ক্ষুধা দেবীর মধ্যে ঘোর বিবাদ' বাঁধিয়াছিল, সুতরাং অধিক অনুরোধ করিতে হইল না । অঙ্গযষ্টি ক্রমে স্ট্রাহীদের সঙ্গে রন্ধনশালার দিকে চলিল ; ক্ৰমে অন্ন-ব্যঞ্জনের কাছে ৰসিল ; এবং ক্রমে দক্ষিণ-হস্তকে স্বকাৰ্য্যে রত হইতে আদেশ করিল। আহার করিতে করিতে দেবরের সহিত অনেক বাক্যালাপ হইতে লাগিল। নিজ স্বামীর ও শ্বশ্রীর গুণের পরিচয় দিয়া অবশেষে দেবরের প্রশংসা হইতে লাগিল। কিরূপে বিবাহের সময় আসিয়া তীহাকে ৭/৮ বৎসবেৰ বালক দেখিয়াছিলেন, কিরূপে তিনি ‘বৌদিদি খাবার দাও” বলিয়া সঙ্গে সঙ্গে বেড়াইতেন, কিরূপে তিনি উপকথা শুনিবার জন্য বৌদিদির