পাতা:মেজ বউ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

yR 6भद्ध दठ । ইতিমধ্যে গােপালচন্দ্ৰ কঁদিতে কঁদিতে বাড়ীর ভিতর আসিতেছেন। গোপালের বয়ঃক্রম চারি বৎসরের কিঞ্চিৎ নৃত্যুন, বর্ণটী শ্যামল, শরীরটী গােলগাল। তবে পেটটা কিঞ্চিৎ বড়। পেটের অপরাধ কি, গােপালের মুখাটী সমস্ত দিনই চলিতেছে। বাঙ্গালিরা দিনে দুইবার খান, বাবুৱা তিনবার খান, ইংরেজের চারিবার খান, কিন্তু গােপালচন্দ্ৰ কতৰ্বার খান তাহা কে বলিবে ? শয্যা হইতে উঠিয়াই আহার, তৎপরে নড়িতে চড়িতে আহার-পিতার পাতে আহার, পিতামহের পাতে আহার, পিতামহীর পাতে আহার, কাকিদের পাতে আহার। ইহাতেও যদি গোপালের কুঁড়ীিটী বর্ভূল না হইবে, তবে বর্ভুলতা কিরূপে জন্মিতে পারে ? এই জন্যই পিতামহী তাহাকে ননিগোপাল নাম দিয়াছেন। গোপালের কণ্ঠে পিতামহীর দত্ত ব্যাঘ্ৰনখ-বিশিষ্ট পদক, হস্তে মেজ কাকীর দত্ত বালা, কোমরে মাতামহের দত্ত নিমফল কোমরপাটা। ছেলেটি বড় শান্ত ; হস্তে হয় একখানি কাটারি, না হয় একগাছি छुर्डि সৰ্ব্বদাই আছে এবং ঐ ছড়ি আবশ্যকমত ক্ষেমি, পুট, মা, কাকী প্রভৃতির পৃষ্ঠে পড়িয়া থাকে। কিন্তু গোপালের প্রহর সকলেরই মিষ্ট লাগে। গোপাল একটী গালি শিখিয়াছেন এবং কোন কাজ মনের অনভিমত হইলেই “ছালা” বলিয়া থাকেন। কর্তা মহাশয় সৰ্ব্বদা গোপালকে ঐ মিষ্ট সম্বোধনে ডাকিয়া গালিটী শিখাইয়াছেন। চট্টোপাধ্যায় মহাশয়ের নিন্দাটাই কেবল কেন করি ? তিনি যে কেবল গালি শিখাইয়াছেন * গঙ্গা নহে, মুখে মুখে তাহাকে অনেক কথা শিখাইয়াছেন, “তােমার নাম কি ? তোমার পিতার নাম কি, তোমার পিতামহের নাম কি, তোমরা কোন কুলে জন্মিয়াছ ? কতদিন ব্ৰাহ্মণকুলে আছ?” ইত্যাদি অনেক প্রশ্নের উত্তর গোপাল আধ্য আধ্য ভাষায় দিতে পারে , এবং আৰ আধ, ভাঙ্গা ভাঙ্গা রকমে চাণক্যের দুই একটা শ্লোকও বলিতে