পাতা:মেজ বউ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

e f(5安7 || “আমােদ, প্ৰমোদে অধিক , রত হন। এক্ষণে তিনি গ্রামের জমীদার মহাশয়দিগের কাছারির খাতা-পত্রের কাজ করিয়া থাকেন এবং বেতন ও উপরি প্রভৃতিতে দুই দশ টাকা উপাৰ্জন করেন। চট্টোপাধ্যায় মহাশয় বুদ্ধিমান লোক, তিনি বুঝিয়াছিলেন যে, যে দিনকাল আসিতেছে, টীক্ষত ব্ৰাহ্মণ-পণ্ডিতী-ব্যবসায়ে আর দিন চলিবে না ; ছেলেদিগকে ইংরাজী না শিখাইলে উপায় নাই। এই জন্তু তিনি মধ্যম পুত্ৰ প্ৰবােধচন্দ্রকে বাল্যকাল হইতেই গ্রামের ইংরাজী স্কুলে দিয়াছিলেন ; তিনি তথা হইতে এণ্টান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া, বৃত্তি পাইয়া কলিকাতায় গিয়া পাঠ করিতেছেন। এ বৎসর তাহার বিএ পরীক্ষার বৎসর। তৃতীয় পুত্র পরেশচন্দ্র তিনবার এণ্টান্স পরীক্ষায় অকৃতকাৰ্য হইয়া পড়া সাঙ্গ করিয়াছেন। মধ্যে মধ্যে কৰ্ত্তার প্ররোচনায় ও প্ৰবোধের তিরস্কারে কৰ্ম্ম দেখিবার উদ্দেশে কলিকাতায় যান ; কিন্তু দুই চারি দিন থাকিয়া ঘরে পলাইয়া আসেন। পরেশ যে কেন কলিকাতায় তিষ্ঠিতে পারে না, কিরূপে বলিব ? সে বলিত কলিকাতার রান্না তার ভাল লাগে না ; কিন্তু বোধ হয়, সেটা প্রকৃত কথা নহে। গ্রামে তাহার সমবয়স্ক বাজনাতে তাহারা দিন কাটায়, পরেশ তাহাদের সঙ্গী, তাহারা পত্র লিখিলেই পলাইয়া আসে। সে যাহাই হউক পরেশের কিছু করিবার গা নাই। কনিষ্ঠ পুত্ৰ প্ৰকাশচন্দ্ৰ কলিকাতার কোন স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণীতে অধ্যয়ন করেন। মধ্যম সহােদরের আশীৰ্বাদে কনিষ্টের পাঠ উত্তমরূপেই চলিতেছে, তাহার বিষয় আর অধিক বলিতে হইবে না। পাঠক মহাশয় মনােযোগ সহকারে এই পুস্তক পাঠ করিলে বধূগুলির পরিচয় ক্রমেই প্ৰাপ্ত হইবেন। কত্রী ঠাকুরাণী এবং শুমা ও বামার পরিচয় ভবিষ্যতে পাইবেন। স্থামা জ্যেষ্ঠ কন্যা, বন্ধক্ৰম ১৭ কি ১৮