ty3 6अछ यऐछ । কিন্তু সে হাসি আর প্রকাশ পাইল না। শরীর উঠিবামাত্র প্রথমে । আনন্দধ্বনি উঠিল; কিন্তু সে ধ্বনি অচিরাং ঘোরতর শোকঞ্চার্নিতে । পরিণত হইল। প্রমদা তনয়ার মৃতদেহ ক্ৰোড়ে করিয়া বসিলেন। 'ਜੇ, नौना" করিয়া ডাকিতে লাগিলেন, একবার হাতখানি নাড়েন, একবার নাসাবন্ধে হস্ত দিয়া দেখেন, একবার গলদেশে হস্ত দিয়া স্পর্শ করেন ; লীলার চেতনা নাই। অবশেষে অধীর হইয়া রোদন করিতে उारु করিলেন। কেহ বলিতেছে “ও গো প্ৰবোধ বাবুর নিকট লোক পাঠাও” কেহ বলিতেছে। “ডাক্তার ডাক।” এমন সময় প্ৰবোধচন্দ্ৰ আসিয়া উপস্থিত হইলেন। খোদাই লীলাকে তুলিয়া আঁহার নিকট গিয়াছিল। প্ৰবোধ পদার্পণ করিবামাত্ৰ শোকের " ধ্বনি চত্বগুণ হইল ; প্রমদা তাঁহার মুখের দিকে চাহিতে পারিলেন না, কেবল ফুলিয়া ফুলিয়া রোদন করিতে লাগিলেন। প্ৰবোধচন্দের আজ আর চলিবার শক্তি নাই ; বলিবার শক্তি নাই ; একেবারে যেন বজাহতের ন্যায় কিয়ৎকাল। নিশ্চেষ্ট হইয়া দাড়াইয়া রহিলেন। ক্ৰমে ডাক্তারও আসিল, ঔষধও আসিল, জলও বাহির হইল, কিন্তু লীলার চেতনা আর হইল না। সে ত আর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দন্তগুলিতে মিষ্ট হাসিয়া “মা”। বলিল না ; অন্য দিন পিতা কাছারি হইতে আসিলে সঙ্গে সঙ্গে ঘূরিয়া আধ আধা ভাষার কত কি জিজ্ঞাসা করে, আজ ত সংবাদও লাইল না ; অন্য দিন খোদাইকে কেহ তামাসা করিয়া মারিতে গেলে রোদন করে, আজ সেই খোদাইয়ের চক্ষে জলধারা दश्नि, कौली जांड्म। করিল না। ক্রমে লোকে প্রমদার ক্রোড় হইতে মৃত কন্যা বলপূর্বক লঈয়া গেল ; তিনি গৃহে আসিয়া ধরাশায়িনী হইলেন ; তিনি বামার ন্যায় উন্মদিনী হইলেন না ; দাসীদের ন্যায় শিরে করাঘাত করিলেন না ;
