পাতা:মেজ বউ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষোড়শ পরিচ্ছেদ। LLLLLS S C LSLSLS MSM AAAS SMSSSMMSSSLS SSLLSLSLL CLqS HA SHLSLSLGSLCLLCSSSLSLS LSLSLLLLLLLA AAAAASLSq AAA S যাহা হউক প্রাণের মধ্যে এই গুরুতর বেদনা থাকিলেও প্ৰবােধচন্দ্রের গৃহের কার্য্য সকল পূৰ্ব্বভাব প্রাপ্ত হইয়াছে ; লোক জনের যাওয়া আসা, কাজ কৰ্ম্ম পূর্বের ন্যায় চলিতেছে। প্ৰকাশচন্দ্র এবং হরিতারণ পূৰ্ব্বাপেক্ষা’ঘন ঘন আসিয়া থাকেন। প্রমদাকে নানা প্রকারে বিনোদন করা তাহদের উদ্দেশ্য । দাদা ও বাউদিদীর শোকের অন্তরালে বামার প্ৰণয় অল্পে অল্পে বৰ্দ্ধিত হইতেছে। তিনি, মনে মনে হবিতারণের অশেষ সদগুণের পক্ষপাতিনী হইয়াছেন। সে জন্য প্ৰবোধ, প্রমদা এবং প্ৰকাশচন্দ্ৰ সকলেই সুখী হইয়াছেন, এবং তঁহাকে উক্ত সৎপাত্ৰ-গতি কারবার সংকল্প আবার তাহদের মনে উদিত হইয়াছে। কিছুদিন পরে আবার একটা সুসন্তান প্রমদার ক্রোড় অলঙ্কত করিল। কিন্তু এবার প্রসব সময়ে প্রস্তুতিকে ভয়ানক ক্লেশ পাইতে হইল”। দুই তিন দিন যাতনা ভোগের পরে তিনি একটা পুত্ৰ সন্তান প্রসব করিলেন। দাসী দাসী, আত্মীয় স্বজন, হিতৈষী বন্ধু সকলে পরম আনন্দিত হইলেন ; কারণ গ্রামাদার শোক সকলেরই প্ৰাণে বাজিয়াছিল। বান্তোন্তম ও আমোদ-কোলাহলে দুই তিন দিন পাড়ার লোকের কাণ পাতিবার মো রহিল না ! কিন্তু হ্যায়। সে সুখ স্থায়ী হইল মা। দুই তিন দিন পরেই নবজাত শিশুর এক প্রকার পীড়ার সঞ্চার হইল, এবং অষ্টাহের মধ্যেই সেই পুষ্পটী বিলীন হইল। আমাদের প্রমদা স্মৃতিকগারে রোদন করিবেন কি, নিজেই গুরুতর পীড়ায় আক্রান্ত হইলেন। তাহার “চিন্তায় প্ৰবোধচন্দ্রের আর শোক করিবার হাবসর হইল না। তীহার পীড়া ক্রমেই বুদ্ধি পাইতে লাগিল ; তিনি সূতিকাগৃহ তইতে শয়নাগারে আনীত হইলেন। যে প্রমদা প্ৰবোধচন্দ্রের জন্য সৰ্ব্বস্বাস্ত হইয়াছিলেন, যিনি প্ৰবোধের চিন্তার ভার নিজ মস্তকে লইয়া ছিন্নবস্ত্রী ও অস্থিচৰ্ম্মসার হইয়াছিলেন, সেই প্রমদার চিকিৎসার সময়। পাঠিকা,