পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দু-রাজত্ব-তাম্রলিপ্ত-রাজ্য। by? রাজ্যই ছিল না। অশোক গঙ্গরিডি রাজ্যের সেই প্রাচীন রাজংশকে উন্মলিত করিয়া তাহার বিজয়চিহ্ন-স্বরূপ রাজধানী তাম্রলিপ্তে শিলাস্তম্ভ প্রতিষ্ঠিত করিয়া থাকিবেন । কিন্তু সেই প্রাচীন রাজবংশের কোন কথা বা কোন রাজার নাম আজ পর্য্যন্ত সঠিক জানা যায় নাই । , অশোকের রাজত্বকালে যখন চারিদিকে প্রচারক প্রেরিত হইতেছিল, সেই সময় অশোকের পুত্ৰ মহেন্দ্রও সিংহলের রাজা তিস্থ্যের অমুরোধে ২৪৩ খৃঃ পূৰ্ব্বাদে সিংহল দ্বীপে গমন করিয়াছিলেন। তখন ভারতবর্ষ হইতে সিংহল, জাপান, চীন প্রভৃতি দেশে যাতায়াত করিতে হইলে তাম্রলিপ্তই একমাত্র বর্দর ছিল। অশোক-পুত্ৰ মহেন্দ্রও বিস্তর ভিক্ষুবর্ণ-পরিবেষ্টিত হইয়। ঐ বন্দর হইতে সিংহল-যাত্রা করিয়াছিলেন । অশোকের মৃত্যুর পরেও, বোধ হয়, তাম্রলিপ্ত মৌর্য্য-সাম্রাজ্যের অন্তভূর্ত ছিল। পরে শেষ মৌর্য্য-নরপতি বৃহদ্ৰথ তাহার শুঙ্গবংশীয় ব্রাহ্মণজাতীয় সেনাপতি পুষ্যমিত্র কর্তৃক নিহত হইলে, সম্ভবতঃ জৈনরাজ খারবেল এই প্রদেশ জয় করেন। উড়িষ্যার উদয়গিরি পর্বতে হস্তিগুম্ফার উপরে কলিঙ্গাধিপতি চেতবংশোদ্ভব তৃতীয় নরপতি খারবেলের একখানি খোদিত নিপি আবিষ্কৃত হইয়াছে। উহা হইতে জানা যায় যে, খারবেল মগধ ও উত্তরাপথ বিজয় করিয়াছিলেন। স্বতরাং ইহা বলা যাইতে পারে যে, ঐ সময় তাম্রলিপ্তও কলিঙ্গাধিপতি শারবেলের অধিকারভুক্ত হইয়াছিল। মৌর্য্য-রাজবংশের অধঃপতনের পর শুঙ্গবংশীয় বা গুঙ্গভৃত্যবংশীয় তাম্রলিপ্তে ধারবেলের অধিকার ।

  • Pilgrimage of Fa-Hian, ch. XXVIII. p. 53. + Epigraphia Indica, Vol. X. App. pp. 160-61. No. 1345.