পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দু-রাজত্ব—তাম্রলিপ্ত-রাজ্য । ১০৫ নামের তালিকায় ছত্রিশ জন রাজার নাম পাওয়া যায়, এবং পূৰ্ব্বোক্তরূপ গণনার স্বারা তাহদের রাজ্যকাল প্রায় দ্বাদশ শত বৎসর নির্ণীত হয়। তাম্রলিপ্তের প্রাচীন রাজবংশের রাজত্বকালও প্রায় ঐরুপ এবং জৈমিনি-ভারতে উল্লিখিত রাজা ময়ূরধ্বজ ও তৎপুত্র তাম্রধ্বজের নামের সহিত বংশপত্রিকায় প্রথম দুই জন রাজার নামের সোসাদৃশু থাকায় আমরা এই রাজবংশকে সেই প্রাচীন রাজবংশ বলিয়াই অনুমান করি। সম্ভবতঃ প্রিয়দর্শ অশোকবৰ্দ্ধন কর্তৃক উক্ত রাজবংশ উন্মলিত হইবার পর আর কোন রাজবংশই স্থায়িভাবে বেশী দিনের জন্য তাম্রলিপ্ত-রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত হইতে পারে নাই। খারবেল, কানিস্ক, কুমারগুপ্ত, স্কন্দগুপ্ত, শশাঙ্ক, হৰ্ষবৰ্দ্ধন, পুলকেশী, রণশ্বর, বিজয় সেন প্রভৃতি উৎকল, গৌড়, বঙ্গ বা রাঢ়ের অধিপতিগণ যখন রাজচক্ৰবৰ্ত্তী হইতেন, তখন বোধ হয়, তাহারা পূৰ্ব্বতন রাজবংশকে উৎখাত করিয়া নুতন ‘রাজার হস্তে বিজিত রাজ্যের ভারার্পণ করিতেন। সেই জন্ত ধারাবাহিকরূপে সেই সকল রাজার নাম সংগৃহীত হয় নাই। দেবরক্ষিত বা দেবসেন অথবা গোপীচন্দ্র প্রভৃতি রাজার। সেই সকল রাজবংশসভূত হইতে পারেন। উড়িষ্যার গঙ্গবংশের প্রতিষ্ঠাতা অনন্ত, বৰ্ম্মাও তমলুকের ঐক্কপ কোন রাজবংশ-দস্তৃত বলিয়া আমাদের বিশ্বাস । কেশরিবংশের অধঃপতনের পর উড়িষ্যায় গঙ্গবংশের অধিকার আরম্ভ হয় । কলতিন সাহেব যে অমুশাসন-পত্র পাইয়াছিলেন, সুপণ্ডিত উইলসন সাহেব উহার পাঠোদ্ধার করিয়া আবিষ্কার করিয়াছেন যে, গঙ্গবংশের আদিপুরুষ গঙ্গারাঢ়ী অর্থাৎ গঙ্গাসন্নিহিত তমলুক ও মেদিনীপুর প্রদেশের অধিপতি ছিলেন। তিনি এই প্রদেশ হইতে গিয়াই উড়িষ্যায় আধিপত্য उाब\४ अत्रदरन ।